গোপালগঞ্জে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর রেকর্ড ফলন

| আপডেট :  ০৭ মে ২০২৪, ০৫:০৩  | প্রকাশিত :  ০৭ মে ২০২৪, ০৫:০৩


গোপালগঞ্জে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর রেকর্ড ফলন

সারাদেশ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি


এবারের বোরো মৌসুমে গোপালগঞ্জে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর রেকর্ড ফলন হয়েছে। গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার দক্ষিণ বোরাশী গ্রামের কৃষক ওসমান মোল্লার জমিতে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ চাষে বিঘাপ্রতি ৩৬ মন ফলন হয়েছে। যার হেক্টর প্রতি ফলন দাঁড়ায় সাড়ে দশ (১০.৫) টন। এছাড়া এই ধানের গাছ খাটো জাতের, শক্ত এবং রোগবালাই সহিষ্ণু । এতে সার ও সেচ অত্যন্ত কম প্রয়োজন হয়।

কৃষকরা বলছেন, তারা এই ধান চাষে প্রচলিত অন্যান্য ধানের জাতের তুলনায় ফলন বেশি পেয়েছেন এবং উৎপাদন খরচও কম হয়েছে। ফলে এই ধান চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে।

কৃষক ওসমান মোল্লা জানান, তিনি এ বছর হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল বা উপসি জাতের বেশ কয়েকটি ধানের জাত চাষাবাদ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের বীজ, সার ও অন্যান্য উপকরণ সহায়তায় ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ চাষ করে সব চেয়ে বেশি ফলন পেয়েছেন। অন্যান্য ধান চাষে তিনি বিঘাপ্রতি ২৮ থেকে ৩২ মন ধান পেয়েছেন। সেখানে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ চাষে ফলন পেয়েছেন ৩৬ মন। এই ধান চাষে তিনি বেশি লাভবান হয়েছেন বলে জানান এই কৃষক।

কৃষক ওসমান মোল্লা ছাড়াও দক্ষিণ বোরাশী গ্রামের কৃষক মো. ওমর ফারুক, সাজ্জাদ মোল্লা ও কিষানি সাদিয়া বেগম ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর চাষ করে রেকর্ড ফলন পেয়েছেন।

তারা জানান, প্রচলিত হাইব্রিড ধান হীরাসহ অন্যান্য হাইব্রিড ও উপসি ধানের তুলনায় ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর ফলন অনেক বেশি। এই ধানের গাছ অনেক শক্ত এবং পোকামাকরের আক্রমণ কম হয়। এছাড়া ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এ চিটা কম হয়। যাতে কৃষক লাভবান হচ্ছেন বলে দাবি তাদের।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের ইনচার্জ ড. মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ জাতটি ২০২২ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত স্বল্প জীবনকালের নতুন একটি ধানের জাত।

গোপালগঞ্জে এ বছর প্রথম কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের মাধ্যমে কৃষকের মাঠে প্রদর্শনী দেয়া হয়। এই ধানে প্রচলিত হাইব্রিড ও উচ্চ ফলনশীল ধানের তুলনায় ফলন অনেক বেশি হয়েছে। এই ধান চাষাবাদে সার এবং সেচ কম লেগেছে। এর গাছ খাটো ও শক্ত হওয়ায় গাছ হেলে পরে নি। এর এক একটি ধানের ছড়ায় ৩৫০ টিরও বেশি ধান হয়েছে। যা অন্যান্য জাতের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। গোপালগঞ্জের মাটি ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ চাষের উপযোগী হওয়ায় গোপালগঞ্জে এর আবাদ বাড়বে বলে আশাবাদ এই কর্মকর্তার।

গোপালগঞ্জের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাফরোজা আক্তার বলেন, আমরা এ বছর যতগুলো ধানের জাতের সম্প্রসারণ করেছি এবং বিদেশ থেকে আমদানিকৃত যতগুলো হাইব্রিড ধানের জাত রয়েছে তার মধ্যে গোপালগঞ্জ সদরে ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এর ফলন সবচেয়ে বেশি হয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই কৃষকদের মাঝে এই ধান চাষে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

বিবার্তা/সঞ্জয়/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত