চট্টগ্রামে ৪ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট চলছে

| আপডেট :  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭  | প্রকাশিত :  ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৭


চট্টগ্রামে ৪ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট চলছে

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি


চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ ৪ দফা দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘট চলছে চট্টগ্রামে।

এতে একদিকে তীব্র গরম অন্যদিকে গাড়ি সংকটের জন্য ক্ষোভ ঝেড়েছেন সাধারণ মানুষ।

২৮ এপ্রিল, রবিবার ভোর ৬টা থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা এই অবরোধ শুরু হয়েছে

সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রাস্তায় বাসসহ বিভিন্ন গণপরিবহনের সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। এছাড়া তিন পার্বত্য জেলা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাগামী রুটেও বাস চলাচল বন্ধ আছে। আগুন ঝরা রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাচ্ছেন না যাত্রীরা। অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

নগরের মুরাদপুর, চকবাজার, বহদ্দারহাট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, অক্সিজেন, নিউমার্কেট, জিইসি, অলঙ্কার মোড়, টাইগারপাসসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র গরমের মধ্যে গাড়ি না পেয়ে মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।  

যাত্রীরা বলছেন, গরমে মানুষের পথচলা দায়। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। গণপরিবহন সংকটে কষ্ট বেড়েছে। সরকারের উচিত এসব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপে যাওয়া, সাধারণ মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করা।

এর আগে, শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম আন্তঃজেলা মালিক সমিতি কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের জরুরি সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী। এ সময় গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তবে এই ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করেছে মালিক-শ্রমিকদের একাংশ।

উল্লেখ্য, চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ ৪ দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় রবিবার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

দাবিগুলো হলো-

*জেলার বিভিন্ন পোস্ট ও স্টেশন থেকে লাইনম্যানসহ অনেক পরিবহন শ্রমিককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম দিয়ে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলা দেওয়া বন্ধ করা।
*চুয়েটের তিনজন শিক্ষার্থীর দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সড়কে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ।
*কক্সবাজারে তিন মাস আগের একটি সড়ক দুর্ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট পরিবহনের অন্য একটি বাস স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন এবং এই কাজে একজন স্থানীয় এমপির নাম ব্যবহার করা হয়। এই অত্যাচার বন্ধ করা।
*অবৈধ ও অনুমোদনহীন যানবাহনের চলাচল বন্ধ করা।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে আগামী ১১ মে পর্যন্ত চুয়েট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েট সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই সময়ে অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবেন।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত