চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

| আপডেট :  ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭  | প্রকাশিত :  ৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৩৭


চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

চবি প্রতিনিধি


চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক দুই গ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) এবং ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চবির সোহরাওয়ার্দী হল ও শাহ আমানত হলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা বলছেন, সোহরাওয়ার্দী হলের মোড়ে ভিএক্স গ্রুপের এক কর্মীকে মারধর করেন সিএফসি গ্রুপের কর্মীরা। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ভিএক্স গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে এবং সিএফসির নেতা-কর্মীরা আমানত হলের সামনে দেশীয় অস্ত্রসহ অবস্থান নেন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষ ও ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হয়ে উভয় পক্ষের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মাথা ফেটে গেছে।

এসময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়।
 
জানা গেছে, ভিএক্স গ্রুপের অনুসারী চারুকলার শিক্ষার্থী আলমাসকে মারধরের জেরে সংঘর্ষের জড়ায় ভিএক্স ও সিএফসির অনুসারীরা।

পরে শাহ আমানত হলের সামনে সিএফসি এবং সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ভিএক্সের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবু তৈয়ব বলেন, ‘সংঘর্ষে আহত হয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিতে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে তিনজনের মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন বলেন, সিএফসি ও ভিএক্সের জুনিয়রদের মধ্যে মারামারির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশ এবং প্রক্টরিয়াল বডি উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, ‘২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের দুই বন্ধুর ভুল বোঝাবুঝি থেকে জুনিয়রদের মধ্যে ছোটখাটো একটি ঝামেলা হয়েছে। পুলিশ এসে দুই পক্ষকে হলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমরা আজ বসে মীমাংসা করে ফেলব।’

সিএফসি গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মির্জা খবির সাদাফকে একাধিকবার কল দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘ছাত্রদের দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। আমরা পুলিশের সহায়তায় উভয় পক্ষকেই নিয়ন্ত্রণে এনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিবার্তা/মহসিন/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত