চবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

| আপডেট :  ০১ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩২  | প্রকাশিত :  ০১ জুলাই ২০২৪, ০৭:৩২


চবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি, ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ

সারাদেশ

চবি প্রতিনিধি


অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনের দাবিতে বেশ কিছুদিন যাবত কর্মবিরতি পালনের পর ১লা জুলাই (সোমবার) থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষাসহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

১ জুলাই, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এক যোগে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন। এতে পুরোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় ক্লাস, পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকে।

চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এম আবু নোমান এ ব্যাপারে বলেন, আমরা পেনশন স্কিমের বিরোধিতা করছি না।আমাদের দাবি পেনশন স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের বাতিল করা হোক। শিক্ষকদেরকে বাতিল না করলে শিক্ষকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এছাড়াও শিক্ষকদের সুপারগ্রেডে যাওয়ার বিষয়টিও এখনো সুরাহা হয়নি। আমরা শিক্ষকদের জন্য একটা আলাদা বেতন স্কেল চাই।

শিক্ষার্থীদের ক্ষতির ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমরা কখনো শিক্ষার্থীদের ক্ষতি চাই না। করোনার সময় যেমন আমরা অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে ছাত্রদের ক্ষতিপূরণ করেছি, সর্বাত্মক কর্মসূচির কারণে ছাত্রদের যা ক্ষতি হবে তা আমরা অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে পূরণ করবো। আমাদের দাবি পালন হলেই আমরা এই কর্মবিরতি থেকে ফিরে আসব।

চবি কর্মচারী ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছি আমাদের কেউ অবসরে গেলে সরকার আমাদের মাসিক ও এককালীন পেনশনসহ নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই প্রত্যয় স্কিমে এই সব সুবিধা নেই। এগুলো থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুসারে আজকে থেকে যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারী হিসেবে যোগ দেবেন তাদের সাথে বর্তমান কর্মচারীদের বড় ধরনের বৈষম্য তৈরি হবে। এই ধরনের বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম আমরা চাই না। আগের পেনশন নীতি চলমান থাকুন এটাই আমাদের দাবি।

এ দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন শিডিউল অনুযায়ী চললেও দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের। ক্লাস না হওয়ার খবর আগে পেলেও দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকার খবর আগে থেকে পাননি অনেক শিক্ষার্থী। যার ফলে ক্যাম্পাসে এসেও অনেক শিক্ষার্থীকে কাজ সম্পন্ন না করেই ফেরত যেতে হয়েছে।

বিবার্তা/মহসিন/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত