চাঁদাবাজি-জমি দখলের অভিযোগে সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে মামলা

| আপডেট :  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪  | প্রকাশিত :  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪


চাঁদাবাজি-জমি দখলের অভিযোগে সাবেক দুই এমপির বিরুদ্ধে মামলা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি


চাঁদাবাজি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভূমি জবরদখলের অভিযোগে ঠাকুরগাঁও-দুই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম তাঁর দুই ছেলে সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য মাজহারুল ইসলাম সুজন ও মমিরুল ইসলাম সুমন এবং তাঁর চাচা সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সহ ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঠাকুরগাঁও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনের আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন আদালত। মামলাটি দায়ের করেন সদর উপজেলার শিবগঞ্জ পারপুগী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হাবিবুল ইসলাম বাবলু।

মামলায় উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলো- সাবেক দুই সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী কামরুজ্জামান শামীম, উপজেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মমিনুল ইসলাম ভাসানী ও তাঁর ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলামের সুজনের ব্যক্তিগত সহকারী ও উপজেলার তাঁতীলীগের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান আকালু ডোঙ্গা, আওয়ামীলীগ নেতা হুমায়ুন কবির, আওয়ামীগের সহ-সভাপতি জুলফিকার আলী, ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী রুবেল, কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আজহার আলী, ভানোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, আমজানখোর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি লাজিব উদ্দীন কালঠু, কলেজপাড়ার আদম আলী, হরিনমারি সরকারপাড়ার মতিন, উদয়পুর গ্রামের মুনছুর, আশরাফুল, বড়বাড়ি গ্রামের আরজু লিটন, আবু শাহীন, চড়–ইগতি গ্রামের লাবলু, দোগাছি চাড়োল গ্রামের জিল্লুর রহমান, ভাঙ্গাটুলি এলাকার রফিক বিডিআর, শাহজাহান, ঢেকনাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, মাহাতবস্তি গ্রামের আকালু ডোঙ্গার ছেলে বাবু,  রত্নাই মারাধার গ্রামের তাজু মেম্বার। এছাড়াও অজ্ঞাত আরো ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা সংখ্যালঘুদের জমি-জায়গা জবরদখল করা তাদের নেশা ও পেশা। তাঁরা প্রভাবশালী হওয়ায় কোন আইনকানুন মেনে চলে না। আসামিরা বিভিন্ন সময় বাদি হাবিবুল ইসলাম বাবলু নিকট ১০কোটি  টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাঁরা বাদির জমি জবর-দখল করে নেয়ার জন হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে তারা টাকার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি ও প্রাণনাশের ভয় দেখায়। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কেউ এ মামলার ব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মামলার বাদী হাবিবুল ইসলাম বাবলু জানান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ৯০ একর জমি রয়েছে তাঁর। তারমধ্যে ২০ একর জমি দখল করেছে রেখেছেন মামলার আসামিরা। আদালতের মাধ্যমে ন্যায় বিচারের আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এবিষয়ে মামলার আইনজীবী জয়নাল আবেদিন বলেন, মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে থানায় এজাহার হিসেবে গন্য করতে বলা হয়েছে। আমরা আশা করছি মামলা নথিভুক্ত করে আসামিদের আইনের আওতায় আনবেন পুলিশ।

বিবার্তা/মিলন/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত