চিলমারীতে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

| আপডেট :  ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১২  | প্রকাশিত :  ১৭ জুলাই ২০২৪, ০৩:১২


চিলমারীতে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

সারাদেশ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা


কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ফসল ভেসে উঠতে শুরু করেছে। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাঠ, আমন বীজতলা, বেগুন ও মরিচের ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। ভেসে গেছে মাছের খামার। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য ঘর বাড়ি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমন বীজতলা ৪৬ হেক্টর, পাট ক্ষেত ১৫০ হেক্টর, আউশ ক্ষেত ৬০ হেক্টর, সবজি ৬৮ হেক্টর, মরিচ ১ হেক্টর তিল ৩৩ হেক্টর, চিনা ৮২ হেক্টর জমির ফসল সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬ হাজার ৮০০ কৃষক।

উপজেলা বজরা তবকপুর এলাকার মরিচ চাষি আহাম্মদ আলী জানান, তিনি ১৫ শতক জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। মরিচের ফলনও ভালো হয়েছিল। মরিচ বিক্রি করতে পারলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যেত। বন্যায় খেতটি সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে যায়।

নয়ারহাট চরাঞ্চলের খেদাইমারী এলাকার মাহাফুজুর রহমান জানান, তার ৫ একর জমিতে তোষা পাটের চাষ করেছিল। পাট ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়েছে।

মৎস্য অফিস জানায়, ৬০ হেক্টর জমির পুকুর ডুবে গিয়ে বন্যার পানিতে মাছ ভেসে গেছে। এতে করে ৪১১ জন মৎস্য চাষি সম্পূর্ণ রূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপর দিকে নদী ভাঙ্গনের ফলে ২১২টি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও সরকারি ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের আংশিক, মাঠ ও যোগাযোগের রাস্তা সম্পূর্ণ রূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বীজ-সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গৃহহীনদের পুনর্বাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।

বিবার্তা/রাফি/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত