চুয়াডাঙ্গায় নদীর পাড় থেকে মরদেহ উদ্ধার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ভৈরব নদীর পাড় থেকে ফজলু মিয়া (২৬) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ফজলু মিয়া উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। ২১ ফেব্রুয়ারি, বুধবার সকালে উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের ভৈরব নদীর পাড় থেকে তার মরাদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ। তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জীবননগর থানার মনোহরপুর গ্রাম দিয়ে কাবলেরচারা মাঠে (নদীর পাড়) ফজলুকে অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ফজলুকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, ফজলুর মৃত্যু কি কারণে হয়েছে তা জানতে তার মরদেহ মর্গে পাঠানে হয়েছে। ময়না তদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর কারণ কি। এছাড়াও তার সাথে কারো কোনো শত্রুতা ছিল কিনা তাও জানার চেষ্টা করছি আমরা। ফজলুর স্ত্রী শিরিনা জানান, ফজলু পেশায় একজন ভ্যান চালক আজ সকালে মাঠে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হবার পর বেলা ১০টার দিকে পুলিশ তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বলে জানতে পারি। আমার স্বামীর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানাচ্ছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই গ্রামের একাধিক ব্যাক্তি বলেন, ফজলু এলাকার সন্তোষপুর পোল ফ্যাক্টারিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি দায়িত্বশীল একটি প্রশাসনের সোর্স হিসাবেও কাজ করতো। হয়তো শত্রুতার জেরে হত্যা করা হতে পারে। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ওমর ফারুক বলেন, তাকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। কোনো বিষক্রিয়ায় তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এস. এম জাবীদ হাসান বলেন, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিবার্তা/আসিম/লিমন
চুয়াডাঙ্গায় নদীর পাড় থেকে মরদেহ উদ্ধার
সারাদেশ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত