চুয়াডাঙ্গায় লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার
রমজান আসার আগেই চুয়াডাঙ্গায় বাড়তে শুরু করেছে নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মাছ-মাংস ও পেঁয়াজের দাম। রোজার পণ্যের দামও চলে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। তবে স্বস্তি ফিরেছে সবজি বাজারে। চুয়াডাঙ্গায় পৌরসভা কতৃক মাংসের দাম নির্ধারন করে দেয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না। মাংশ ব্যবসায়ীদের ইচ্ছা মতো দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। বেশি দাম নিয়ে মাংস বিক্রেতাদের রয়েছে নানান যুক্তি। এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনের সঙ্গে মাংস ব্যবসায়ীদের অনুষ্ঠিত সভায় প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম সর্ব্বোচ্চ ৬৫০শ টাকা ও খাশির মাংসের দাম ৯০০শ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পৌর মেয়রের বেধে দেয়া দামকে পাত্তা দিচ্ছেননা ব্যাবসায়ীরা। নিয়ম অমান্য করে চুয়াডাঙ্গার বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। মাংস ক্রেতা রইসুল ইসলাম বলেন, এক কেজি খাশির মাংস কিনতে হলো ১ হাজার টাকায়। কিন্তু ৯শ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা। মাংস ব্যাবসায়ীরা কোনো নির্দেশনা মানছে না। বাধ্য হয়েই বেশি দামে মাংস কিনতে হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির দাম সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজিতে। সোনালি মুরগির দাম স্বাভাবিক থাকলেও কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে প্যারেন্ট মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা কেজি দরে। মাছের বাজারে যেন আগুন লেগেছে। প্রতি কেজি সব ধরনের মাছ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। ফলে মাছ মাংসের বাজারে ক্রেতা সাধারণ হতাশ হয়ে পড়েছেন। এতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এদিকে বৃষ্টির কারণে বাজারের পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৭৫ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। তবে স্বস্তির হাওয়া লেগেছে কাচা মরিচ, রসুন ও অন্যান্য সব ধরনের কাচা সবজির বাজারে। আর সয়াবিন তেল আগের দাম অনুযায়ি লিটার প্রতি ১৭২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানকে সামনে রেখে ছোলাসহ সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। সেই সাথে বেড়েছে অন্যান্য মশলার দামও। রমজান যত নিকটে আসবে ততই নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে বলে জানান ব্যাবসায়িরা। আব্দুস সালাম নামের এক ক্রেতা বলেন, রমজান মাস আসার আগেই বাজারে ডাল মাছ মাংসের দাম বেশি। আয়ের সাথে ব্যয় মেলাতে পারছি না। রোজার আগে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে আরও লাগামহীন হয়ে পড়বে। জেলার বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পরও যদি দাম বেশি নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিভিন্ন ডালের দাম একটু বেশি। নিয়মিত বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে। রমজানকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিং বাড়ানো হবে। বিবার্তা/আসিম/এসবি
চুয়াডাঙ্গায় লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত