জমকালো আয়োজন ছাড়াই বশেমুরবিপ্রবির ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

| আপডেট :  ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:০১  | প্রকাশিত :  ০৮ জুলাই ২০২৪, ০৮:০১


জমকালো আয়োজন ছাড়াই বশেমুরবিপ্রবির ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি


গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) তেইশ বছর পূর্ণ করে চব্বিশে পদার্পণ করেছে। সোমবার (৮ জুলাই)  বিশ্ববিদ্যালয়টির ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) ২০০১ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে জাতির পিতার জন্মভূমি গোপালগঞ্জে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। তবে, প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল ১৯৯৯ সালে।   

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী বশেমুরবিপ্রবি ২৪ বছরে পদার্পণ করলেও ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। ফলে, শিক্ষাকার্যক্রমের দিক থেকে পদার্পণ করেছে ১৪ বছরে। এনিয়ে টানা ৪ বছর ধরে নানা অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস একেবারেই দায়সারাভাবে পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এবছরেও ৭ জুলাই রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদ্‌যাপনের কর্মসূচি মাত্র ২ টি কর্মসূচি উল্লেখ করা হয়। যারমধ্যে একটি হলো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং অপরটি হলো প্রশাসনিক ভবনের কেক কাটা।

এমনকি জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন শেষে শ্রেণিকক্ষের একটি সাধারণ টেবিলে কাটা হয় কেক। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এমন দায়সারাভাবে উদ্‌যাপন করা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে তৈরি হয়েছে হতাশা ও ক্ষোভ, করছে নানা সমালোচনা।

একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, ‘করোনার পর থেকে আজ পর্যন্ত দেখলাম না বিশ্ববিদ্যালয় দিবস জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করছে প্রশাসন। প্রতিবারই নানান অজুহাতে এটা কোনোরকমভাবে পালন করে, করতে হয় শুধু তাই। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের গর্ব, একটা আবেগের জায়গা। অন্তত এই দিনটা একটু ভালো আয়োজন করে পালন করা উচিত প্রশাসনের।’

২০২০ সালের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কোনো আয়োজন না থাকার  বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ.কিউ.এম. মাহবুব বলেন, ‘এবছর আমরা ভালোভাবে পালন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মবিরতির জন্য সম্ভব হয়নি। তবে আমরা পতাকা উত্তোলন ও কেক কেটেছি। বিগত বছরগুলোতে হয়নি এটা সবার দোষ আছে।’

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১৪ জুলাই রিজেন্ট বোর্ডের ৭ম সভায় ৮ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। তবে, ২০০১ সালে আইন পাসের পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় এসে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে বিশ্ববিদ্যালয়টি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। পরে ২০১০ সালের ২০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন বাস্তবায়নে সরকার এসআরও জারি করে এবং ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বিবার্তা/অহনা/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত