জাকাত আদায়ে গড়িমসিতে ইসলামে কঠোর হুঁশিয়ারি

| আপডেট :  ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩২  | প্রকাশিত :  ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩২


জাকাত আদায়ে গড়িমসিতে ইসলামে কঠোর হুঁশিয়ারি

ধর্ম

ধর্ম ডেস্ক


জাকাত একটি ফরজ বিধান। জাকাত আদায় না করলে আল্লাহর শাস্তি রয়েছে কঠিন। জাকাত ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি। জাকাত সঠিকভাবে আদায়ে বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন আল্লাহ তাআলা। আবার জাকাত আদায়ে গড়িমসি করলে কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

হযরত আবদুল্লাহ বিন উমার (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের দিকে এগিয়ে এসে বলেন, হে মুহাজিরগণ! তোমরা পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষার সম্মুখীন হবে। তবে আমি আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি যেন তোমরা তার সম্মুখীন না হও। যখন কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ে তখন সেখানে মহামারী আকারে প্লেগরোগের প্রাদুর্ভাব হয়। তাছাড়া এমন সব ব্যাধির উদ্ভব হয়, যা পূর্বেকার লোকদের মধ্যে কখনো দেখা যায়নি। যখন কোন জাতি ওজন ও পরিমাপে কারচুপি করে তখন তাদের উপর নেমে আসে দুর্ভিক্ষ, কঠিন বিপদ-মুসীবত আর জাকাত আদায় না করলে তখন আসমান থেকে বৃষ্টি বর্ষণ বন্ধ করে দেয়া হয়। যদি ভু-পৃষ্ঠে চতুষ্পদ জন্তু ও নির্বাক প্রাণী না থাকতো তাহলে আর কখনো বৃষ্টিপাত হতো না। যখন কোন জাতি আল্লাহ ও তার রসুলের অঙ্গীকার ভঙ্গ করে, তখন আল্লাহ তাদের উপর তাদের বিজাতীয় দুশমনকে ক্ষমতাসীন করেন এবং সে তাদের সহায়-সম্পদ সবকিছু কেড়ে নেয়। যখন তোমাদের শাসকবর্গ আল্লাহর কিতাব মোতাবেক মীমাংসা করে না এবং আল্লাহর নাযীলকৃত বিধানকে গ্রহণ করে না, তখন আল্লাহ তাদের পরস্পরের মধ্যে যুদ্ধ বাধিয়ে দেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস ৪০১৯)

পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! পণ্ডিত ও সংসারবিরাগীদের অনেকে লোকদের মালামাল অন্যায়ভাবে ভোগ করে চলছে এবং আল্লাহর পথ থেকে লোকদের নিবৃত রাখছে। আর যারা স্বর্ণ ও রুপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আজাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সুরা: তাওবাহ, আয়াত: ৩৪)

সেদিন জাহান্নামের আগুনে তা উত্তপ্ত করা হবে এবং তার দ্বারা তাদের ললাট, পার্শ্ব ও পৃষ্ঠদেশকে দগ্ধ করা হবে (সেদিন বলা হবে), এগুলো যা তোমরা নিজেদের জন্য জমা রেখেছিলে, সুতরাং এক্ষণে আস্বাদ গ্রহণ কর জমা করে রাখার।’

দেশের নানান জায়গায় ইসতিসকা বা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজ আদায় করা হচ্ছে। ইসলামি খিলাফতের আমলে কিন্তু ইসতিসকার পদ্ধতি আমাদের দেশের পদ্ধতির মত ছিলো না। ইসলামি খিলাফতের আমলে কোনো শহরে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হলে ওই শহরের শাসনকর্তা বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজের জন্য একটি দিন ঘোষণা করতেন। সে অনুযায়ী শাসনকর্তাসহ গোটা শহরবাসী রোজা রাখতো। দুদিন রোজা রাখার পর তৃতীয় দিন রোজা রেখে গোটা শহরের সব মানুষ তৃতীয় দিনে রোজা রেখে ইসতিসকার নামাজ আদায় করতো। আল্লাহ তাআলা আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করে আমাদেরকে তার রহমতের বৃষ্টিতে ধন্য করুন।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত