জামালপুরে বন্যা আক্রান্তদের দুর্ভোগ: তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
জামালপুরে বন্যা আক্রান্তরা দুর্ভোগে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পানি উঠায় তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ৯ জুলাই, মঙ্গলবার পর্যন্ত জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে যমুনার পানি একটু কমলেও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এক সপ্তাহের বন্যায় আক্রান্ত জেলার প্রায় তিন লক্ষাধিক পানিবন্দি মানুষ দুর্ভোগে পড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মঙ্গলবার দুপুরে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৬১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে পানি কিছুটা কমলেও দুর্গতদের দুর্ভোগ কমেনি। দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫০টি ইউনিয়নের প্রায় তিন লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। জেলার যমুনা তীরবর্তী ইসলামপুরে চিনাডুলী, সাপধরী,বেলগাছা, কুলকান্দি ও নোয়াড়পাড়া এলাকায় বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় বানভাসিদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। ত্রাণ প্রয়োজনীয় তুলনায় অপ্রতুল হওয়ায় অনেকেই এখনো সরকারি সহায়তা ত্রাণসামগ্রী পায়নি বলে জানিয়েছেন চিনাডুলী চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম সহ বন্যার্তরা। বন্যার কারণে তলিয়ে গেছে জেলার ৮ হাজার হেক্টর ফসলি জমি। বন্ধ রয়েছে ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক, ২শ ৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৮৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান। বন্যা দুর্গতদের জন্য ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে কয়েক হাজার পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। দুর্গত এলাকায় খাবার ও সুপেয় পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বিবার্তা/ওসমান/জবা
জামালপুরে বন্যা আক্রান্তদের দুর্ভোগ: তিন শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ
ময়মনসিংহ
জামালপুর প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত