জিম্মিদের তথ্য জানতে গাজায় ছবিসহ লিফলেট ফেললো ইসরায়েল
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবির এলাকায় উড়োজাহাজ থেকে জিম্মিদের ছবিসহ লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে শনিবার (২০ জানুয়ারি) ৬৯ জন ইসরায়েলি জিম্মির নাম পরিচয় প্রকাশ করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস শরণার্থী শিবির এলাকায় উড়োজাহাজ থেকে জিম্মিদের ছবি ও যোগাযোগের ফোন নম্বরসহ লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে লিফলেটে একটি বার্তা দেয়া হয়েছে। বার্তায় লেখা আছে, আপনি বাড়ি ফিরতে চান? আপনি যদি তাদের (জিম্মি) মধ্যে একজনকে শনাক্ত করেন তবে অনুগ্রহ করে আমাদের জানান। লিফলেটে নম্বর দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বলা হয়েছে, কোনও জিম্মিকে চিনে থাকলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে জানাতে হবে। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় এখনও হামাসের হাতে প্রায় ১৩৬ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় এখনও হামাসের হাতে প্রায় ১৩৬ জন ইসরায়েলি জিম্মি রয়েছে। এছাড়া জিম্মিদের মধ্যে ২৭ জনের মৃত্যুর দাবি করেছে দেশটি। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে ঢুকে হামাস আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় টানা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলা শুরুর পর ৯ অক্টোবর গাজায় সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। টানা হামলার শিকার গাজায় খাবার, পানি, ওষুধ ও জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় কদিন আগে মিশরের রাফা ক্রসিং দিয়ে কয়েকটি ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকেছে ওই উপত্যকায়। এতদিন গাজায় জ্বালানি প্রবেশে ইসরায়েলের অনুমতি ছিল না। বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে সম্প্রতি শুধু হাসপাতাল ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর জন্য জ্বালানির অনুমতি দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে ঢুকেছে কয়েকটি জ্বালানিবাহী ট্রাক। এ অবস্থায় গাজায় জিম্মি ব্যক্তিদের মুক্তি ও ইরসায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তির বিনিময়ে ও গাজায় মানবিক সহায়তায় পাঠানোর শর্তে গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফার যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এরপর এই যুদ্ধবিরতি চলে সাত দিন। এই সাত দিনে হামাস ১১০ জনকে এবং ইসরায়েল মুক্তি দিয়েছে ২৪০ জনকে। আন্তর্জাতিক নানা মহলের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আর বাড়েনি। বিবার্তা/লিমন
জিম্মিদের তথ্য জানতে গাজায় ছবিসহ লিফলেট ফেললো ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত