‘টাইব্রেকার কিং এমি সবার চেয়ে আলাদা’

| আপডেট :  ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৪১  | প্রকাশিত :  ০৫ জুলাই ২০২৪, ০১:৪১


‘টাইব্রেকার কিং এমি সবার চেয়ে আলাদা’

স্পোর্টস ডেস্ক


এমিলিয়ানো মার্টিনেজ যেন টাইব্রেকার কিং। প্রায় প্রতি ম্যাচেই টাইব্রেকারে সাক্ষাৎ যমদূত হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন তিনি প্রতিপক্ষের ফুটবলারদের সামনে। কোপা আমেরিকার প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের জন্যও সেটি হলেন তিনি। শেষ সময়ে ইকুয়েডর গোল করে সমতায় ফিরলেও টাইব্রেকারে মার্টিনেজ বীরত্বে ৪-২ ব্যবধানে জিতলো আর্জেন্টিনা।

পুরো ৯০ মিনিটের খেলায় ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। লিসান্দ্রো মার্টিনেজের ৩৫ মিনিটের গোলটাই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণী হতে পারত। সবাই যখন ম্যাচ শেষের অপেক্ষায় তখনই স্কোরশিটে পরিবর্তন। কেভিন রড্রিগেজের ৯১ মিনিটের গোলে ইকুয়েডর ফেরে ম্যাচে।

কোপা আমেরিকার নিয়ম মেনে ম্যাচ চলে গেল সরাসরি পেনাল্টি শ্যুটআউটে। এরপরের গল্পটা সবার চেনা হয়ে গেছে এতিদিনে। ডি-বক্সের ওই ঘরটায় স্ট্রাইকাররা যেন ফ্রাঙ্কেনস্টাইনের দানবের সামনে থাকা এক শিকার। আর এমিলিয়ানো সেই দানব। এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ছোট্ট ওই ডিবক্সের একক রাজা বললেও কম হয়ে যায়। সার্জিও গায়কোচিয়ার ৯০ এর বিশ্বকাপের গল্প শুনে বড় হওয়া প্রজন্ম দেখে, পেনাল্টিতে কীভাবে একজন রাজা হতে পারেন।  

ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচে লিওনেল মেসি প্রথমেই এসে প্যানেনকা শট মিস করেন। ক্রসবারে লেগে বল চলে যায় বাইরে। তবু এমিলিয়ানো নির্ভার। মেসিকে ইশারা করে জানান দেন তিনি আছেন। এরপরের দৃশ্যটা খুব চেনা। এমি পেনাল্টি ঠেকান। হয়ে যান বীর। শুন্যে লাফিয়ে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত ছোঁড়া কিংবা গোলবারের সামনে দাঁড়িয়ে অভিনব নাচ। এসব দৃশ্য খুব চেনা এখন।

ইকুয়েডরের আনহেল মেনা আর অ্যালান মিন্দার শট। আর্জেন্টিনা গোল করল পরের চার শটেই। ইকুয়েডরকে সেখানেই হারাল আলবিসেলেস্তেরা। তাতেই আর্জেন্টিনা চলে যায় সেমিফাইনালে।   

ম্যাচের শেষে দলের গোলরক্ষক এমি মার্টিনেজের ওপর আস্থার কথা অকপটে স্বীকার করে নেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি, ‘পেনাল্টি শ্যুটআউটে দলের সবাই অন্ধভাবে গোলরক্ষকের ওপর বিশ্বাস করেছিল আর এটাই স্বাভাবিক। যদিও লিও (মেসি) মিস করেছিল, তারপরেও পুরো দল জানতো, ভাল কিছু হতে যাচ্ছে।’

এরপরেই নিজের গোলরক্ষককে নিয়ে ভিন্ন এক মন্তব্য করলেন স্কালোনি। বোঝালেন কেন এমিই সবার চেয়ে আলাদা, ‘আমি গোলকিপিং কোচ নই। কিন্তু যখন তারা গোল সেইভ করে তারা বিপক্ষ দলের ওপর আধিপত্য দেখায়, খেলা থেকে ছিটকে দেয়। আর সে (এমি মার্টিনেজ) গোল বাঁচায়। এমনভাবে গোল ঠেকায়, যেন সে মাঠকেই আওয়াজ করতে বাধ্য করে। এটা ভাল দিক, সে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলে।

এমি মার্টিনেজের চরিত্রটাই এমন। যার সামনে অরেলিন চুয়ামেনি আর কিংসলে কোম্যানের মতো বিগ ম্যাচের খেলোয়াড়রাও স্নায়ুচাপে ভুগতে বাধ্য হন। ফিফা বাধ্য হয় পেনাল্টির আগে গোলরক্ষকের আচরণের নিয়ম বদল করতে। স্ট্রাইকারদের সামনে নার্ভাস করার উপায় বন্ধ করে দেয়া হয়।

কিন্তু তাতে কি এমিলিয়ানোকে ঠেকিয়ে রাখা যায়? পেনাল্টি ঠেকিয়ে শুন্যে লাফিয়ে কিংবা কোমর দোলানো নাচে প্রতিপক্ষকে তিনি করেন আরও বেশি বিভ্রান্ত।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত