টাকা-ডলার অদলবদল ব্যবস্থা চালু করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

| আপডেট :  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১২  | প্রকাশিত :  ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:১২


টাকা-ডলার অদলবদল ব্যবস্থা চালু করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

বিবার্তা প্রতিবেদক


দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রা অদলবদল ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে মার্কিন ডলারসহ অন্যান্য কারেন্সি দিয়ে টাকা নিতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। যার মেয়াদ সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন।

১৫ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তা কার্যকর হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়,  বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে উদ্বৃত্ত ডলার থাকলে এখন তা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দিয়ে তারা সমপরিমাণ টাকা ধার নিতে পারবে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাণিজ্যিক ব্যাংক উভয় পক্ষই লাভবান হবে। কারণ, উদ্বৃত্ত ডলারের বিপরীতে ব্যাংকগুলো তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পেয়ে যাবে। আবার নির্ধারিত সময় পর টাকা ফেরত দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সমপরিমাণ ডলার পেয়ে যাবে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেদের প্রয়োজনে একে অপরের মধ্যে ডলার ও টাকার অদলবদল করে থাকে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে এ অদলবদলের সুবিধা চালু হলো।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, কারেন্সি সোয়াপের আওতায় সর্বনিম্ন ৫০ লাখ ডলার বা তার সমপরিমাণ টাকা অদলবদল করা যাবে। সোয়াপের মেয়াদ হবে সর্বনিম্ন ৭ থেকে সর্বোচ্চ ৯০ দিন।

তবে মুদ্রা অদলবদলের সুবিধা নিতে আগ্রহী ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চুক্তি দরকার হবে। চুক্তি অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেদিন বাংলাদেশ ব্যাংকে ডলার জমা দেবে, ওই দিনের ডলারের বিনিময়মূল্য হিসেবে সমপরিমাণ টাকা পেয়ে যাবে। একইভাবে নির্ধারিত সময় পর টাকা জমা দিয়ে ডলার ফেরত নিতে পারবে।

এতদিন শুধু বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডলার ও টাকা অদলবদল প্রথা চালু ছিল। এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকও তা করলো। মুদ্রা ব্যবস্থাপনার আওতায় নতুন এ বিধান প্রচলন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, উদ্বৃত্ত বৈদেশিক মুদ্রা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়ে সমপরিমাণ টাকা ধার নিতে পারবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। তাতে দুই পক্ষই উপকৃত হবে। কারণ, এর আওতায় ডলারের বিপরীতে তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পাবে। আবার নির্দিষ্ট সময় পর তা ফেরত দিয়ে সমপরিমাণ ডলার পাবে তারা।

ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ব্যবস্থার ফলে উভয় পক্ষের সুবিধা হবে। কারণ, এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ ব্যাংকগুলোর দেশের শাখা থেকে বিদেশি শাখায় ডলার স্থানান্তর বন্ধ আছে। পাশাপাশি মূল ব্যাংক থেকে বিদেশি শাখায় যে অর্থ দেওয়া হয়, তাও চলতি বছরের মধ্যে ফেরত আনতে বলা হয়েছে। এরফলে ব্যাংকগুলো ব্যবসার জন্য বিদেশি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে যে ডলার ধার এনেছে, তা ব্যবহার করতে পারছে না। এখন এসব ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা দিয়ে টাকা নিতে পারলে সেই অর্থ ঋণ হিসেবে দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের জমা বাড়লে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়বে। তাই ডলার-টাকা অদলবদলে বাণিজ্যিক ব্যাংকের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাণিজ্যিক ব্যাংকের হাতে থাকা অতিরিক্ত ডলার কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা অন্য ব্যাংকের কাছে বিক্রি করা যায়। তবে প্রয়োজনের সময় ওই ডলার আবার ফেরত পাওয়া যাবে, সে নিশ্চয়তা নেই। কারেন্সি সোয়াপ সেই নিশ্চয়তা দেবে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত