ঠাকুরগাঁওয়ে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

| আপডেট :  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬  | প্রকাশিত :  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৬


ঠাকুরগাঁওয়ে ইস্তিসকার নামাজ আদায়

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি


ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র দাবদাহে জন জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ। বৈশাখে তাপমাত্রার পারদ দিন দিন ঊর্ধ্বগামী হচ্ছে। তীর্যক সূর্যের কড়া রোদের তেজে ঝলসে যাচ্ছে চারদিক। ক্রমশ নামছে পানির স্তর। তাপের প্রকোপ থেকে বাঁচতে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা।

২৫ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা সদরের সালান্দর আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সালন্দর ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আবুল হাসান তোহা।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের পানি ছেড়ে দেন এবং তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ঠাকুরগাঁওসহ সারাদেশে বৃষ্টি নেই। তীব্র তাপদাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আল্লাহ যেন বৃষ্টির মাধ্যমে এ অবস্থা থেকে সবাইকে পরিত্রাণ করেন এটাই প্রার্থনা। যখন দীর্ঘদিন বৃষ্টি হতো না, তখন নবী করিম (স.) সাহাবাদের নিয়ে যে বিশেষ সালাত আদায় করতেন, তাকে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ বলে। ইস্তিসকা মানে বৃষ্টি প্রার্থনা করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।

অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে শ্রমিক মজুর ও দিন এনে দিন খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা কাহিল। কষ্টদায়ক হয়ে উঠেছে তাদের জীবনধারণ। রোদে খাঁ খাঁ করছে কৃষি জমিগুলো। শিশু-বৃদ্ধ, নর-নারী, ধনী-গরিব সবার আকুল প্রার্থনা মেঘ ও বৃষ্টির শীতল পরশের জন্য। চাতক পাখিরও যেন গলা শুকিয়ে ডাক বেরুচ্ছে না। অনাবৃষ্টি ও তাপপ্রবাহে কাহিল-ক্লান্ত-অসুস্থ মানুষজন, গাছপালা, প্রাণিকুল, প্রকৃতি ও পরিবেশ।

সবখানে একটু পানির জন্য হাহাকার। তাছাড়া সর্দি-কাশি, জ্বর-ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানাবিধ রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে অনেকেই। হাসপাতাল-ক্লিনিক-ডাক্তারের চেম্বারে প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর ভিড়। গরমের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবনে দুঃসহ যন্ত্রণা বিরাজ করছে।

বিবার্তা/মিলন/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত