ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন হবে: মেয়র আতিক

| আপডেট :  ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০  | প্রকাশিত :  ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:১০


ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে ক্যাম্পেইন হবে: মেয়র আতিক

বিবার্তা প্রতিবেদক


ঈদের পর থেকেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলররা জনগণকে সচেতন করতে ক্যাম্পেইন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘প্রতি মাসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, রাজনীতিবিদ, ইমাম, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সবাইকে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে করণীয় সম্পর্কে মতবিনিময় সভা ও সচেতনতামূলক র‍্যালি আয়োজন করবে।’

৭ এপ্রিল, রবিবার দুপুরে মিরপুর ভাসানটেক এলাকায় রমজান উপলক্ষ্যে ডিএনসিসির উদ্যোগে এবং চীন দূতাবাসের সহযোগিতায় ভাসানটেক বস্তিতে বসবাসকারী এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বাসাবাড়ির জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশার লার্ভা জন্মায়। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু হলে মৃত্যু ঝুঁকি আছে। তাই ঈদে বাড়ি যাওয়ার আগে বাসা বাড়ির ছাদ, বারান্দা, বাথরুম এগুলো পরিষ্কার করে যাবেন। কোথাও পানি জমে এডিসের লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পাত্র উল্টিয়ে রাখবেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশেষভাবে অনুরোধ করছি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের আপনারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ নজর দিবেন। ঈদ শেষে ফিরে এসে খেয়াল রাখবেন কোথায় পানি জমে রয়েছে কিনা। আমরা সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হলে ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাব।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন ‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় শহরজুড়ে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এডিস মশার প্রজননস্থল এবং পরিবেশের জন্য হুমকিস্বরূপ পরিত্যক্ত পলিথিন, চিপসের প্যাকেট, আইসক্রিমের কাপ, ডাবের খোসা, অব্যবহৃত টায়ার, কমোড ও অন্যান্য পরিত্যক্ত দ্রব্যাদি জনগণের নিকট হতে নগদ মূল্যে সংগ্রহ করার উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের কার্যালয়ে গিয়ে যে কেউ উল্লিখিত দ্রব্যাদি জমা দিয়ে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। চিপসের প্যাকেট/সমজাতীয় প্যাকেট (১০০টি) ১০০ টাকা, আইসক্রিমের কাপ, ডিসপোজেবল গ্লাস/কাপ (১০০টি) ১০০ টাকা, অব্যবহৃত পলিথিন (প্রতি কেজি) ৫০ টাকা, ডাবের খোসা (প্রতিটি) ২ টাকা, মাটি/প্লাস্টিক/মেলামাইন/সিরামিক ইত্যাদির পাত্র (প্রতিটি) ৩ টাকা, পরিত্যক্ত টায়ার (প্রতিটি) ৫০টাকা, কনডেন্সড মিল্কের কৌটা (প্রতিটি) ২টাকা, পরিত্যক্ত কমোড/বেসিন ইত্যাদি (প্রতিটি) ১০০ টাকা, অন্যান্য পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের দ্রব্যাদি (প্রতি কেজি) ১০ টাকায় কিনে নিবে ডিএনসিসি।’

বিবার্তা/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত