তীব্র গরমে ফিলিপাইনে জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরনো শহর

| আপডেট :  ০১ মে ২০২৪, ০১:৪৩  | প্রকাশিত :  ০১ মে ২০২৪, ০১:৪৩


তীব্র গরমে ফিলিপাইনে জেগে উঠলো ৩০০ বছরের পুরনো শহর

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ। এমন পরিস্থিতিতে ফিলিপাইনে দেখা দিয়েছে খরা। আর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় ফিলিপাইনে সন্ধান মিলেছে পানিতে তলিয়ে যাওয়া শতবর্ষী পুরোনো এক শহরের। প্রচণ্ড গরমে বড় একটি বাঁধের পানি আংশিক শুকিয়ে যাওয়ার পর শহরটি জেগে উঠেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রচণ্ড গরমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধের পানি আংশিক শুকিয়ে যাওয়ায় প্রায় ৩০০ বছর পুরোনো শহরটি জেগে ওঠে।

গবেষকরা বলছেন, এই শহরের নাম পান্তাবাঙ্গান। ১৯৭০-এর দশকে পানি সংরক্ষণের জন্য কৃত্রিম জলাধার তৈরির সময় এটি পানিতে তলিয়ে যায়। আবহাওয়া যখন অনেক শুষ্ক ও গরম থাকে, তখন বাঁধের পানি শুকিয়ে শহরটি কখনো কখনো দৃশ্যমান হয়ে ওঠে, যা বিরল ঘটনা। ৫০ বছরের বেশি সময় পর আবারও জেগে উঠেছে এই শহর।

ফিলিপাইনের বাঁধগুলো দেখভালকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন পালাদিন বলেন, তলিয়ে যাওয়া শহরটি আগে দৃশ্যমান হলেও এবারের মতো এতটা দৃশ্যমান হয়নি।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, সত্তরের দশকে নির্মিত জলাধারটির পানির স্বাভাবিক উচ্চতা ২২১ মিটার। তবে তীব্র গরমে এখন পানির স্তর প্রায় ৫০ মিটার নেমে গেছে। আর তাতেই জেগে উঠেছে এই ‘হারিয়ে যাওয়া’ নগরী।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে যেসব দেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে, সেসবের একটি ফিলিপাইন। প্রচণ্ড গরমের কারণে হাজার হাজার স্কুলে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে দেশটিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা ক্ষতির কবলে পড়েছে।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী জানায়, দেশটির প্রায় অর্ধেক প্রদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে খরায় রয়েছে।

ফিলিপাইনে এখন গরম ও শুষ্ক মৌসুম চলছে। এল নিনোর (প্রশান্ত মহাসাগরের পানি অস্বাভাবিক রকমের উষ্ণ হয়ে ওঠা) প্রভাবে সেখানে গরমের তীব্রতা বেড়েছে। এতে জলাধারের পানিও শুকিয়ে যাচ্ছে। দেশটির প্রায় অর্ধেক জায়গায় এখন খরা চলছে। কিছু জায়গায় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (১২২ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পৌঁছেছে।

ফিলিপিন্সের বাঁধ দেখভালকারী রাষ্ট্রীয় সংস্থার প্রকৌশলী মারলন পালাদিন এএফপিকে বলেছেন, বৃষ্টি না হওয়ায় গত মার্চ মাস থেকেই ডুবে থাকার শহরটির ধ্বংসাবশেষ দৃশ্যমান হতে শুরু করে। শহরটি নতুন করে জেগে ওঠায় পর্যটকরা ভিড় করছেন।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত