তীব্র তাপপ্রবাহে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ৯ পরামর্শ
বেশ কিছুদিন ধরে দেশের কিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। এতে গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন। এই সময়ে ছোট স্ফুলিঙ্গ বড় অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটাতে পারে। তাই আপনার প্রতিষ্ঠান ও আবাসনকে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে সচেতন হতে হবে। এ বিষয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. তালহা বিন জসিম। চলনু জেনে নিই তীব্র তাপপ্রবাহে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কী করবেন। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ব্যবহার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি যে কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকে তা হলো বৈদ্যুতিক গোলযোগ। ২০২৩ সালে শুধু এই বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে সারাদেশে ৯ হাজার ৮১৩টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সে হিসেব অনুযায়ী, বিদ্যুৎ ব্যবহারের অসতর্কতার কারণে গড়ে দিনে ২৬টি আগুন লাগে। এ কারণে তাপদাহের সময়ে বৈদ্যুতিক লাইন ও সরঞ্জাম ব্যবহারে অতি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এ সময় কারখানা ও বাসার বৈদ্যুতিক ক্যাবল ওয়্যারিং ঠিক আছে কিনা নিয়মিত চেক করুন। খুব দ্রুত ত্রুটিপূর্ণ ক্যাবল পরিবর্তন করুন। একটি লাইন বা মাল্টিপ্লাগ থেকে অনেকগুলো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন না। এছাড়া বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম বা কারখানার যন্ত্রাংশ নির্দিষ্ট সময় পরপর বিরতি দিন। রান্নার সময় সতর্কতা বারবিকিউ, আতশবাজি এই অতিরিক্ত দাবদাহের সময়ে বাড়ির ছাদে, বারান্দায় বা খোলা স্থানে বারবিকিউ না করাই উত্তম। কেননা একটু স্ফুলিঙ্গ উড়ে গিয়ে বড় কোনো অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এই সময়ে ক্যাম্পফায়ার, আতশবাজি, ফানুস উড়ানোকে একবারেই না বলুন। ফিলিং স্টেশনে সতর্কতা গাড়ি পার্কিং আগুন নিয়ে খেলা ধূমপানে সতর্কতা অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম ফায়ার সার্ভিসের নম্বর সংরক্ষণ সবার সচেতনতা-ই কমাতে পারে বড় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি। তাই সবার সচেতনতা জরুরি। নিরাপদ থাকা সম্ভব। বিবার্তা/মাসুম
তীব্র তাপপ্রবাহে অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ৯ পরামর্শ
লাইফস্টাইল
লাইফস্টাইল ডেস্ক
বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি দ্বিতীয় যে কারণে অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকে তা হলো চুলার আগুন। তাই এই দাবদাহের সময়ে রান্না করার সময় সচেতন থাকুন। যতক্ষণ রান্না করবেন ততক্ষণ চুলার পাশে থাকুন। রান্না বসিয়ে মোবাইলে কথা বলা, টিভি দেখা অন্যান্য কাজ থেকে বিরত থাকুন। রান্না শেষে গ্যাসের লাইন ভালোভাবে সতর্কতার সাথে বন্ধ রাখুন। গ্রামে রান্না করছেন তারা রান্নার পরে চুলার পাশে কাঠ, খড়ি শুকাতে দেবেন না।
ফিলিং স্টেশনে তেল ও গ্যাস নেয়ার সময় গাড়ির ভেতরে থাকবেন না। এছাড়া ফিলিং স্টেশনে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সচল আছে কিনা তা নিয়মিত চেক করতে হবে মালিক ও কর্মচারীদের। ত্রুটিপূর্ণ হলে দ্রুত সচল করুন।
যেহেতু বাইরে রোদের তীব্রতা অনেক তাই সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে গাড়ি পার্কিং করবেন না। ছায়ায় গাড়ি পার্ক করুন। এছাড়া বাইরে গাড়িতে চলাচলের সময় অবশ্যই গাড়ির ভিতরের তাপমাত্রার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া গাড়ি পার্কিং করা অবস্থায় ভেতরে অবস্থান না করাই উত্তম।
এই সময়ে বাচ্চাদের আগুন নিয়ে খেলতে দিবেন না। যেকোনো আগুনের কার্যক্রমকে নিরুৎসাহিত করুন।
অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের সময় ভবনে সিগারেট পান করার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করুন। সিগারেটের শেষাংশ অবশ্যই নিভিয়ে নিরাপদ স্থানে ফেলুন। গাড়ি চালানোর সময় যেকোন স্থানে সিগারেটের টুকরা ফেলবেন না।
মূলত অসচেতনতার কারণেই আগুনের ঘটনা বেশি ঘটে। তাই নিজে, প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যদের আগুন কেনো লাগে সেবিষয়ে সচেতন করতে হবে। এছাড়া বড় অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি কমাতে সবসময় কাছাকাছি অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম নিশ্চিত করুন এবং আপনার বাসা ও প্রতিষ্ঠানের অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা সচল আছে কিনা চেক করুন। সচল না থাকলে দ্রুত ঠিক করুন। অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবন থেকে কিভাবে বের হবে সে বিষয়ে ফায়ার ড্রিল করে নিন। অগ্নি নির্বাপন সরঞ্জাম ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিন। এই তাপপ্রবাহ চলমান সময়ে সচেতন থাকুন, চোখ খোলা রাখুন, অন্যদের সতর্ক করুন।
অগ্নিকাণ্ডে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করতে ফায়ারের সেবা দ্রুত পেতে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের নম্বর নিজেসহ পরিবারের সদস্যদের মোবাইলে সেভ করুন ও দৃশ্যমান স্থানে রাখুন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন ১৬১৬৩ এবং ৯৯৯-এ ফোন করে সেবা নেয়া যাবে।
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত