তীব্র শীতে খানসামায় গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

| আপডেট :  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৯  | প্রকাশিত :  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৪:০৯


তীব্র শীতে খানসামায় গরম কাপড়ের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

সারাদেশ

খানসামা প্রতিনিধি


দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় জেঁকে বসেছে শীত। কনকনে এই শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। ভোরে ও রাতে কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে পুরো এলাকা। শীতের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে সাধারণ মানুষেরা ভিড় জমাচ্ছেন পুরাতন গরম কাপড়ের দোকানে। ফুটপাতের এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে গরম কাপড়ের চাহিদাও আকাশচুম্বী। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে সারি সারি কাপড়ের পসরা সাজিয়ে রেখেছেন বিক্রেতারাও।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর, পাকেরহাট বাজারের টাওয়ার মার্কেট ও গ্রোয়ার্স মার্কেটে প্রধান সড়কের সাথেই অটোভ্যান কিংবা ফুটপাতে শীতের বিভিন্ন রকম পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ভ্রাম্যমাণ এসব দোকানে ছোট-বড় সকলের জন্য জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, হুডি, মাপলার, টুপিসহ সকল প্রকার পুরাতন গরম কাপড় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। শীত বাড়ার সাথে সাথে বিক্রিও বেড়েছে তাদের। আকার ও সাইজ অনুযায়ী এসব কাপড় ৫০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছেন বলে জানান তারা। অন্যদিকে কম দামেই নিজের ও পরিবারের জন্য কাপড় কিনছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত নিবারণের জন্য কম দামে এসব কাপড় পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।

কাপড় বিক্রেতা ছকিউদ্দিন জানান, রাজধানী ও পার্শ্ববর্তী সৈয়দপুর বাজার থেকে এসব পুরাতন কাপড় ক্রয় করেন তারা। পরবর্তীতে বিভিন্ন হাট-বাজারে গিয়ে বিক্রি করেন এসব কাপড়। প্রতিদিন গড়ে ৩০০০-৫০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় বলে জানান তিনি।

আরেক কাপড় বিক্রেতা জিকরুল হক জানান, শীত বাড়ার সাথে সাথে তাদের বিক্রিও বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে শীত বেড়ে যাওয়ায় আগের তুলনায় চড়া দাম দিয়ে মহাজনের কাছ থেকে কাপড় কিনতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উপজেলার পাকেরহাট টাওয়ার মার্কেটে কাপড় কিনতে এসেছেন অঞ্জনা রানী (৫৫)। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই জারে (শীতে) হাত-পা টাটাছে বায় (কাঁপছে)। সারাদিন কাজ করিয়া সন্ধ্যায় এইঠে আইনু (এখানে আসলাম) এনা কাপড় নিবার। হামরা গরীব মানুষ নয়া (নতুন) কাপড় কিনির পারি এজন্যে এইঠে আসিনু কাপড় নিবার (কিনতে)।

বিপ্লব রায় নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, বাসায় দুইটা ছোট বাচ্চা আছে। তাদের জন্য কাপড় কিনতে এসেছি। এখানে অনেক ভালো ভালো পুরাতন কাপড় কমদামে পাওয়া যায়।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান রিফাত বলেন, আমাদের উপজেলার অসংখ্য ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষ এই শীতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তাদের এই সময়ে সমাজের সকল বিত্তবানদের এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

ইউএনও মো. তাজউদ্দিন বলেন, তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষজন এই দোকানগুলো থেকে সাধ্যমতো কাপড় কিনে শীত নিবারণ করছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে ও বিভিন্ন সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন সাধ্যমতো শীতার্তদের পাশে থাকার চেষ্টা করছে।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত