তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে থাকছে পরিবেশ ও জলবায়ু: পরিবেশমন্ত্রী

| আপডেট :  ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩  | প্রকাশিত :  ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩


তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমে থাকছে পরিবেশ ও জলবায়ু: পরিবেশমন্ত্রী

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা সংক্রান্ত বিষয়গুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।

তিনি বলেন, পাঠ্যক্রমে পরিবেশ সংরক্ষণের বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করে ছোট থেকেই শিশুদের সচেতন করতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বায়ু ও শব্দদূষণ রোধেও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

২৯ এপ্রিল, সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে টেকসই নগরায়ন ও পরিবেশের সুরক্ষা সুপারিশমালা বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী এ সময় পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সবার অভ্যাসগত দৈনন্দিন ব্যবহার পরিবর্তনের তাগিদ দেন।

তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

প্লাস্টিক ব্যবহারে সবাইকে আরও সচেতন হওয়ার ও বর্জ্য অপসারণে নগর সংশ্লিষ্টদের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার এককভাবে কিছু করতে পারবে না। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন। তাই সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার যেতে হবে। নির্বাচনের আগে যারা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এমন ৪৬ জন সংসদ সদস্যকে নিয়ে সংসদে একটি ককাস গঠনের আহ্বান জানান তিনি।

প্রাণবন্ত আলোচনায় নির্ধারিত বক্তারা ছাড়াও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যুব ও নারী প্রতিনিধিরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তারা পরিকল্পিত নগরায়ন, পরিষেবা সরবরাহ, টেকসই কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবেশ ও নদী দূষণ বন্ধে প্রণীত সুপারিশমালা তুলে ধরেন। ওই সুপারিশ বাস্তবায়নে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনাল পিএআর কর্মসূচির চিফ অব পার্টি কেটি ক্রোকের সভাপতিত্বে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইউএসএইডের বাংলাদেশের অফিস ডিরেক্টর ড. মুহাম্মদ এন খান, কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের ভাইস প্রেসিডেন্ট অব প্রোগ্রামস গোয়েনডোলিন এ্যাপেল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয় সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান, দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক প্রদীপ কুমার রায়, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল, সুশীলনের প্রধান নির্বাহী মোস্তফা নুরুজ্জামান প্রমুখ।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত