তেলের দাম বাড়াল সৌদি

| আপডেট :  ০৬ মে ২০২৪, ০৯:৪৮  | প্রকাশিত :  ০৬ মে ২০২৪, ০৯:৪৮


তেলের দাম বাড়াল সৌদি

আন্তর্জাতিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক


সকল ব্র্যান্ডের অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়িয়েছে সৌদি আরব। দেশটির খনিগুলো থেকে তেল উত্তোলন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপনন সম্পর্কিত রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি সৌদি আরামকো এ তথ্য জানিয়েছে।

রবিবার (৫ মে) আরামকোর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরব লাইট ক্রুডের অন্তর্ভুক্ত সবগুলো সাব-ব্র্যান্ডের অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৯০ সেন্ট থেকে ২ দশমিক ৯০ ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিয়াদ। এছাড়া অন্যান্য ব্র্যান্ডের অপরিশোধিত তেলের দামও বাড়ানো হয়েছে।

৬ মে, সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিশ্বের প্রায় সব অঞ্চলের জন্য সৌদি আরবের তেলের দাম বাড়ানো এবং তার সঙ্গে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে যাওয়ায় তেলের দাম বেড়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থাটি বলেছে, আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিশ্বের বৃহত্তম এই তেল উৎপাদনকারী অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে ইসরাইল-হামাস সংকট ছড়িয়ে পড়তে পারে।

সংবাদে বলা হয়েছে, আজ সকালে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ২৮ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮৩ দশমিক ২৪ ডলারে উঠেছে। এছাড়া ইউএস টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪০ ডলারে উঠেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত মাসে আরব ক্রুড লাইটসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের অপরিশোধিত তেলের দাম ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছিল সৌদি আরামকো।

করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ডলারের মূল্যমান বাড়তে থাকায় গত দেড় বছরেও বেশি সময় ধরে মন্দাভাব চলছে অপরিশোধিত তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে। ডলার সাশ্রয়ের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো তেল কেনা কমিয়ে দেওয়ায় তেলের বাজারে মন্দাভাব শুরু হয়।

বাজার চাঙা রাখতে তেলের কয়েক দফায়ে তেলের উত্তোলন কমিয়েছে সৌদি। সর্বশেষ কমানো হয়েছে গত ফেব্রুয়ারিতে।

জুন মাসে এশিয়া, উত্তর-পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের দেশগুলোতে যে তেল বিক্রি করবে সৌদি আরব, তার দাম বাড়ানো হয়েছে। এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, চলতি গ্রীষ্মকালে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়বে।

গত সপ্তাহে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কিছুটা প্রশমিত হওয়ায় জ্বালানি তেলের দাম ৭ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছিল। আজ সপ্তাহের শুরুতে সেই ধারা ভেঙে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বাড়ল। বহুজাতিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইএনজির পণ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান ওয়ারেন প্যাটারসন এ তথ্য দিয়েছেন।

গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছিল গত সপ্তাহে। কিন্তু যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আরও কমে গেছে। হামাস দাবি করেছিল, বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হোক; কিন্তু ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন।

এদিকে টানা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো যুক্তরাষ্ট্রে সক্রিয় তেল ও গ্যাসের খনির সংখ্যা কমেছে, বিশেষ করে তেলের খনির সংখ্যা কমেছে বেশি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সাতটি কমে গিয়ে সক্রিয় খনির সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৯৯টি। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসের পর আর কখনো এক সপ্তাহের ব্যবধানে এতগুলো খনি উৎপাদনের বাইরে চলে যায়নি।

সৌদির তেলের ক্রেতাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশই এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। গত বছর পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রেতাদের জন্য তেলের দাম বাড়ালেও এশীয় ক্রেতাদের বেলায় তা করেনি সৌদি। আরামকোর রবিবারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবারের বর্ধিত দাম এশীয় ক্রেতাদের বেলাতেও প্রযোজ্য হবে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত