দুবলারচরের ত্রাস খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

| আপডেট :  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৭  | প্রকাশিত :  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:৫৭


দুবলারচরের ত্রাস খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু

সারাদেশ

মোংলা প্রতিনিধি


অবশেষে বঙ্গোপসাগর তীরে দুবলারচরের ত্রাস, শুঁটকি পল্লীর জেলেদের আতঙ্ক খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তের খবর পেয়ে চর ছেড়ে গা ঢাকা  দিয়েছে শুঁটকি ব্যবসায়ী খান শফিউল্লাহ খোকন ওরফে খোকন রাজাকার। অপরদিকে, মামলার বাদীকে শফিউল্লাহ খোকনের স্বজনরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুবলার আলোর কোলের কয়েকজন জেলে অভিযোগ করে বলেন, খুলনার রুপসা উপজেলার শোলপুর দেয়ারা এলাকার তৎকালীন রাজাকার কমান্ডার খান শফিউল্লাহ খোকন দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় দুবলারচরের শুঁটকি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছেন। তার দাপটে সাধারণ জেলেরা প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকেন।

১৯৭১ সালে রাজাকার কমান্ডার খান শফিউল্লাহ খোকন রুপসা যুগীহাটি গ্রামের সামসুর রহমান শামা মল্লিকসহ আরো কয়েকজনকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনায় শামা মল্লিকের পুত্র সাইফুল মল্লিক গামা যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৫ জানুয়ারি যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা রুপসা থানায় খোকন রাজাকারের বিরুদ্ধে স্বাক্ষ গ্রহণ করেন।

অপরদিকে শফিউল্লাহ খোকনের স্বজনরা মামলার বাদী সাইফুল মল্লিক গামাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছে বলে সাইফুল মল্লিক সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেছেন।

মামলার ২নং সাক্ষী আলহাজ মুনসুর আলী পোদ্দার বলেন, খান শফিউল্লাহ খোকন রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তার নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে রাজাকাররা শোলপুর দেয়ারা এলাকায় ধর্ষণ, লুট ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। সে নিজেকে আড়ালে রাখার জন্য দুবলারচরে অবস্থান নিয়ে শুঁটকির ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। তার নির্যাতনে অনেক ব্যবসায়ী ও জেলে দুবলারচর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্তের খবর পেয়ে খান শফিউল্লাহ খোকন দুবলারচর ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে আলহাজ মুনসুর আলী জানান।

বিবার্তা/জাহিদ/রোমেল

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত