দেশের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| আপডেট :  ২৬ জুন ২০২৪, ০৩:৫৭  | প্রকাশিত :  ২৬ জুন ২০২৪, ০৩:৫৭


দেশের স্বার্থেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


ইউরোপে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ট্রেন যায়, তাতে কী তাদের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়? এমন প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারতের রেলযোগাযোগ রয়েছে, সেটি আরও বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের স্বার্থে ও স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সঙ্গে নতুন সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও পুরোনো সমঝোতা স্মারক নবায়ন করেছে সরকার।

২৬ জুন, বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ভালোভাবে পড়াশোনা করতে বলেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকের মধ্যে পার্থক্য বোঝেন না। ভারত সফরে কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। মির্জা ফখরুলকে বলব, ভালোমতো পড়াশোনা করে গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য দিতে। যে সমঝোতা স্মারকগুলো সই হয়েছে, সবগুলো বাংলাদেশের স্বার্থে।

হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমাদের ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। বিএনপি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক ধরে রাখতে পারেনি। ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকার কারণে ভারতের ভূমির ওপর দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করার বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে।

তিস্তা চুক্তি নিয়ে ভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে বিরোধ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বলেন, এটা তাদের রাজ্য এবং কেন্দ্রের বিষয়, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের সরকার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমঝোতা স্মারক করে বা চুক্তি করে। ঐকমত্য হয়, দ্বিমত হয়; সেটা তাদের একান্তই অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে চাই না। আমি মনে করি, এ প্রশ্নটা ভারত সরকারকে করলে ভালো হয়। তারাই এটার সঠিক উত্তর দিতে পারবে। কারণ, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতে নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে দ্বিপক্ষীয় সফরে আমন্ত্রণ জানায়। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় ভারত বাংলাদেশকে কত গুরুত্ব দেয়।

হাছান মাহমুদ বলেন, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়ন না হলেও পানি পাবে বাংলাদেশ। তবে এই চুক্তি নবায়নের জন্য আমরা কথা বলেছি।

হাছান মাহমুদ আরো বলেন, ইউরোপে এক দেশ থেকে আরেক দেশে ট্রেন যায়। তাতে কী তাদের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? দুই দেশের রেলযোগাযোগ রয়েছে। সেটি আরো বিস্তৃত করার প্রচেষ্টা চলছে।

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি খুনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হত্যার বিষয়টি এখনই শুনলাম। দুই দেশই সীমান্ত হত্যা বন্ধের বিষয়ে তৎপর।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন।

এসময় কানেক্টিভিটি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত, নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সুইডেনের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত এইচই আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে।

সাক্ষাতে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রযুক্তি, রোহিঙ্গা ইস্যুসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত