দেশে আরও রোহিঙ্গা প্রবেশের শঙ্কা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর

| আপডেট :  ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৬  | প্রকাশিত :  ২৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৬


দেশে আরও রোহিঙ্গা প্রবেশের শঙ্কা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর

জাতীয়

বিবার্তা ডেস্ক


মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, মিয়ানমারে আরাকান আর্মি ও দেশটির সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এতে শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ভোর থেকে আরাকান প্রদেশের আরাকানের বুচিডংয়ে রোহিঙ্গা গ্রাম ফুমালিতে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার সেনাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে আরাকান আর্মি ফুমালি গ্রামে আশ্রয় নেয়।    

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গারা নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমারের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছুটছে। দেশটির সেনাবাহিনীর হামলার মুখে অসহায় এসব রোহিঙ্গারা বাংলাদেশেও প্রবেশের চেষ্টা করছে।

সেই সময় সেনা ঘাঁটি থেকে ভারী গোলাবর্ষণে বহু হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। আহত শতাধিক রোহিঙ্গাকে বুচিডং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মোবাইলের নেটওয়ার্ক সচল না থাকায় যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন। হতাহতের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে, শতাধিক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম ইরাবতী বলছে, এর আগে বুধবার রাখাইনের একটি শহর নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এরপর আশপাশের গ্রামগুলোতে শুরু হয় তীব্র গোলাগুলি।

অন্যদিকে রাখাইন রাজ্যের রামব্রী টাউনশিপে চলমান সংঘর্ষে মিয়ানমার বিমান বাহিনীর বোমারু বিমান বার বার শহরে উড়ছে। বিভিন্ন অবস্থানে গোলাবর্ষণ করছে।

সংবাদমাধ্যম ইরাবতী বলছে, গত বুধবার রাখাইনের একটি শহর নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় আরাকান আর্মি। এরপর আশপাশের গ্রামে তীব্র গোলাগুলি শুরু হয়।

ইরাবতী আরও বলছে, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত ৪১ জন রোহিঙ্গাকে মংডু হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চিকিৎসা করার মতো অর্থও তাদের কাছে নেই। এরই মধ্যে হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় (আরআরআরসি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরুর পর ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের কাছে প্রত্যাবাসনে ৮ লাখ ৮২ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা দিয়েছিল। সেই তালিকা যাচাই-বাছাই করে মাত্র ৬৮ হাজার রোহিঙ্গার একটি তালিকা চূড়ান্ত করে তা বাংলাদেশের কাছে ফেরত পাঠিয়েছিল মিয়ানমার।

তবে কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প ও ভাসানচর মিলিয়ে দেশে বর্তমানে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত