দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দের বৈঠক
কোটাবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে সৃষ্ট উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বৈঠক করেছেন ৯০ এর গণঅভ্যুত্থান পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক অসম্প্রদায়িক ছাত্র সংগঠনসমূহের বর্তমান নেতৃবৃন্দ। ২৮ জুলাই, রবিবার বেলা ১২টায় শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইছহাক আলী খান পান্না পরিচালিত সভার সভাপতিত্ব করেন জাসদ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জনাব আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম। সভায় সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতৃবৃন্দ দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে এনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খুলে দেয়া এবং শান্তি বজায় রাখার বিষয়ে আলেচনা করেন। কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সাম্প্রতিক ঘটনায় তরুন শিক্ষার্থী, শিশু, সাধারণ পথচারী, খেটে খাওয়া মানুষ, সাংবাদিক, পুলিশ নিহত হওয়ায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করা হয়। সাম্প্রতিক ঘটনায় নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে আহতদের চিকিৎসার সকল দায়িত্ব গ্রহণ করার প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার অবিলম্বে বাস্তবায়ন করার দাবি জানানো হয়। সভায় সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দ, কোটা আন্দোলনের নামে বিএনপি-জায়ামাত-জঙ্গিবাদী শক্তির সুপরিকল্পিত, সুসংগঠিত, ধ্বংসাত্মক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের বাধা প্রদান, নারী সাংবাদিকদের নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির তীব্র নিন্দা জানানো হয়। সভায় সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রায় ও নির্দেশনার আলোকে সরকার কর্তৃক দ্রুত পরিপত্র জারি করে সমস্যার সমাধান হয়ে যাওয়ায় আন্দোলনকারীদের ধৈর্য্য ধারণ করে এবং অর্জিত বিজয় ধরে রেখে আন্দোলন প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন, কোটা আন্দোলন হাইজ্যাক করে বিএনপি-জায়ামাত-জঙ্গিরা অপরাজনীতি করতে না পারে সে বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদের সজাগ থাকতে হবে। কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত-জঙ্গি অশুভ শক্তির সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, নৈরাজ্য রাজনীতির বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্যমত গড়ে তোলার আহ্বান জানান। তারা দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্রসমাজের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এনামুল হক শামীম, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম আমিন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মোহসীন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান চুন্নু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুজ্জামান শিখর, জাসদ ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল কবির স্বপন, সাবেক সভাপতি সাব্বাহ আলী কলিন্স, ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সভাপতি মোশাহিদ আহমেদ, ছাত্র কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি রাজু আহমেদ, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, ছাত্রঅন্দোলনের সাবেক সভাপতি ইউনুস সিকদার, বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, জাসদ ছাত্রলীগের সভাপতি রাশিদুল হক ননী, বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি অতুলন দাস আলো, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, জাসদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহমেদ, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অদিতি আদৃতা সৃষ্টি, জাতীয় ছাত্রঐক্যের আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হাসান সৈকত, জাসদ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি চন্দ্রনাথ পাল, ছাত্রলীগ ঢাকা মহনগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সাগর আহমেদ শামীম, ছাত্রলীগ ঢাকা মহনগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক সজল কুন্ডু প্রমুখ। এতে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, জাতীয় ছাত্রঐক্যের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশোক ধর, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জিয়াউল হক মুক্তা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হাসান তরুন, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি খায়রুল হাসান জুয়েল, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সামসুল ইসলাম সুমন, জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আহসান হাবীব শামীম, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর রুসমত, ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ রুবেল, জাতীয় ছাত্রঐক্যের সাবেক সভাপতি ফরিদ আহমেদ, ছাত্রলীগ ঢাকামহানগর উত্তরের সভাপতি রিয়াজ মাহমুদ, ছাত্রলীগ দক্ষিণের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি, জাসদ ছাত্রলীগ ঢাকামহানগর দক্ষিণ সভাপতি আব্দুর রহমান নিলয়, সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ছোরায়েদ সাদি, ছাত্রমৈত্রীর আহ্বায়ক মোহম্মদ আলী রকি, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া পারভীন ঝড়া সহ ১২৩ জন সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতা। বিবার্তা/লিমন
দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সাবেক ও বর্তমান ছাত্র নেতৃবৃন্দের বৈঠক
বিবার্তা প্রতিবেদক
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত
