দোয়া কবুলের ২৮ ক্ষেত্র (রেফারেন্স সহ)

| আপডেট :  ১৪ আগস্ট ২০২১, ০৮:১৫  | প্রকাশিত :  ১৩ আগস্ট ২০২১, ০৯:১৫

সম্পাদনায়: উজ্জ্বল প্রধান

১) অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দুয়া (কোন মুসলিমের পিছনে বা অগোচরে অন্য মুসলিমের দুয়া)।(মুসলিম ৬৮২২)
২) জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুম ব্যক্তির দুয়া। (জামে আত তিরমীযি ৩৪৪৮)
৩) বাবা তার সন্তানের জন্য দুয়া (নেক দুয়া বা বদ দুয়া)
(তিরমীযি ৩৪৪৮)
৪) নেককার সন্তানের দুয়া (তার বাবা মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর) ( আবু দাউদ ২৮৮০)
৬) আরাফাতের ময়দানে দুয়া।(তিরমীযি ৩৫৮৫)
৬) বিপদগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তির দুয়া (সূরা নামাল ৬২,৫৭ ও সূরা ইসরার ৬৭ নাম্বারর আয়াত)
৭) সেজদায় দুয়া। (নাসায়ী ১০৪৫)
৮) হজ্জের স্থানসমূহে দুয়া (যেমন: আরাফা, মুজদালিফা, মিনা…)(ইবনে মাজাহ২৮৯২)
০৯) হাজীর দুয়া (হজ্ব করা অবস্থায়)। (ইবনে মাজাহ২৮৯৩)
১০) উমরাহকারীর দুয়া (উমরাহ করার সময়)। (নাসায়ী ২৬২৫)
১১) আযানের পর দুয়া।(তিরমীযি ২১০)
১২) যুদ্ধ চলাকালীন সময় দুয়া।(আবু দাউদ২৫৪০)
১৩) বৃষ্টি বর্ষণকালে দুয়া।
(আবু দাউদ ২৫৪০)
১৪) শেষ রাতের দুয়া, তাহাজ্জুদ (বুখারী ১১৪৫)
১৫) জুম্মার দিনে দুয়া, আছরের শেষ দিকে তালাশ করার জন্য নির্দেশ আছে। (নাসায়ী১৩৮৯)
১৬) লাইলাতুল ক্বদর এর দুয়া।(বুখারী ও মুসলিম)
১৭) আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় দুয়া। (আহমাদ ১৪৬৮৯) মুসলিম ৬৬৮
১৮) ফরয সালাতের শেষ অংশে দুয়া। (রিয়াদুস সালেহিন ১৫০৮, তিরমিযি ৩৪৯৯)
১৯) মুসাফির ব্যক্তির দুয়া (সফর অবস্থায়)। (তিরমীযি ৩৪৪৮)
২০) রোজাদার ব্যক্তির দুয়া (রোজা অবস্থায়)।
(ইবনে মাজাহ ১৭৫২)
২১) ন্যায়পরায়ণ শাসকের দুয়া।(তিরমীযি ২৫২৬)
২২) ঘুম থেকে উঠে বিশেষ দুয়া পাঠ করার পর দুয়া করলে কবুল হয়। (বুখারী ১১৫৪)
২৩) দুয়া ইউনুস পাঠ করে দুয়া করলে কবুল হয়।
(তিরমিযি ৩৫০৫)
২৪) ইসমে আযম পড়ে দুয়া করলে কবুল হয়।
(ইবনে মাজাহ ৩৮৫৬)
২৫) বিপদে পতিত হলে যে দুয়া পড়া হয়। (ইন্না লিল্লহি …… রাজিউন)
এবং
(আল্লা-হুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া ওয়াখলিফলী খাইরাম মিনহা…) তখন দুয়া কবুল হয়। (মিশকাতুল মাসীবাহ ১৬১৮, মুসলিম ৯১৮)
২৬) জমজমের পানি পান করার পর দুয়া। (ইবনে মাজাহ ৩০৬২, আহমদ ৩/৩৫৭)
২৭) নির্যাতিতের দুয়া (তিরমিযি ৩৪৪৮)
২৮) দু হাত তুলে দোয়া করা, আল্লাহ হাত খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন (আবু দাউদ ১৪৮৮)

[বিস্তারিত জানতে উপরের রেফারেন্স এর হাদিস গুলো পাঠ করূন]
দোয়া করার আদব/বৈশিষ্ট্য:
———————–
➡ হালাল খাদ্য খাওয়া, হারাম খাদ্য ও কাজ থেকে দুরে থাকা।[মিশকাত হা:২৭৬০]
➡ খালেছ অন্তরে দৃঢ় সংকল্প নিয়ে দু’য়া করা। [বুখারি, মিশকাত হা:১]
➡ ওযু করে দু’য়া করা [বুখারি ৬৩৮৩]
➡ নেক আমল বা ভালো কাজ আল্লাহ’র কাছে পেশ করে দু’য়া করা। [বুখারি হা:৪৯৩৮]
➡ দু’য়া করার শুরুতে আল্লাহ্’র প্রশংসা ও নবী (সা:) এর উপর দরুদ পাঠ করা।[তিরমিযি হা:৩৭২৪]
➡ কিবলামুখি হয়ে দোয়া করা।[বুখারি হা:৬৩৪৩]
দুই রাকআত সালাত আদায় করে দু’য়া করা। [আবু দাউদ হা:১৫২১]
➡ নম্রতা ও বিনয়ের সাথে দু’য়া করা। [সুরা আরাফ ২০৫]
➡ পাপ স্বীকার করে দুয়া করা।[মিশকাত হা:২৩৩৩]
➡ আল্লাহর সুন্দর সুন্দর নামের উছিলায় দু’য়া করা। [সুরা আরাফ ১০৮[
➡ দোয়া নিরবে করা। [সুরা আরাফ ৫৫, ২০৫]
➡ মনে আশা নিয়ে দৃঢ়তার সাথে দু’য়া করা। [মিশকাত হা:১৪৮৪]
এবং দুহাত তুলে দুয়া করা (আবু দাউদ ১৪৮৮)
➡ উপরিক্ত নিয়ম অনুসারে দুয়া করলে ইনশাআল্লাহ্ দুয়া কবুল হবেই।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত