নতুন অর্থবছরে মিশ্র প্রবণতায় পুুঁজিবাজার

| আপডেট :  ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫  | প্রকাশিত :  ০২ জুলাই ২০২৪, ০৭:২৫


নতুন অর্থবছরে মিশ্র প্রবণতায় পুুঁজিবাজার

শেয়ার বাজার

বিবার্তা প্রতিবেদক


নতুন অর্থবছরের প্রথম কার্যদিবসে দেশের পুঁজিবাজারে মিশ্র প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়েছে। মূলত বাজেটে ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স আরোপের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে।

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সোমবার (২ জুলাই) লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এর উত্থান হয়েছে। তবে অন্য দুটি সূচক নেতিবাচক অবস্থানে ছিল। বাজার দুইটিতে লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের চেয়ে কমেছে।

২ জুলাই, মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে ১১.৭৮ পয়েন্ট, লেনদেন হয়েছে ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক বেড়েছে ৫.২৭ পয়েন্ট, লেনদেন হয়েছে ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

লেনদেনের শুরুতে আগের দিনের ধারাবাহিকতায় চাপে থাকে উভয় বাজার। শুরুতেই দেখা যায় ভলিউম লিডারের শেয়ারগুলোও, যেমন-সালভো কেমিক্যাল, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের মতো শেয়ার ক্রেতাশুন্য হয়ে যায়। দিনের সর্বনিম্ন দামে এসব শেয়ারের লাখ লাখ শেয়ার বিক্রির অফার দেখা যায়। তারপর ধীরে ধীরে শেয়ারগুলোতে ক্রেতারা ফিরতে শুরু করে এবং এক পর্যায়ে শেয়ারগুলোতে চাঙ্গাভাব বিরাজ করে। দেখা যায় দিনের শেষভাগে শঙ্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাজার।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে এখন প্রায় সব শেয়ারই বিনিয়োগ উপযোগি। বিচার-বিশ্লেষণ করে এখন শেয়ারে বিনিয়োগ করলে মুনাফা হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ। তাঁরা মনে করছেন, বাজারের বড় বিনিয়োগকারীরা ধীরে শেয়ার সংগ্রহ করছেন। তাদের সংগ্রহ শেষ হলে যেকোন সময় বাজারে বড় চাঙ্গাভাব দেখা যেতে পারে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মঙ্গলবার লেনদেন শুরুর প্রথম ১০ মিনিটের মধ্যে ডিএসইএক্স সূচক প্রায় ৩৯ পয়েন্ট হারিয়ে ৫ হাজার ২৯৯ পয়েন্টে নেমে আসে। এরপর বাজারটিতে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার কেনার দিকে মনোযোগী হলে ধীরে ধীরে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। তবে লেনদেনের গতি আগের দিনের চেয়ে কিছুটা শ্লথ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে বাজারটি পতনের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসে। ফলে দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ১১.৭৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৩৪০.১৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরীয়াহ সূচক ২.২৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৭৭.৭৪ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক ৫.০১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯০৪.৬৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বাজারটিতে আজ ১২ কোটি ৬৪ লাখ ৪৬ হাজার ২৭টি শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এসব শেয়ার ও ফান্ডের বাজার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৪০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। এতে আজ ডিএসইতে লেনদেন কমেছে প্রায় ২৭২ কোটি টাকা। এদিন বাজারে ৩৯৪ টি কোম্পানি ও মিউচূয়্যাল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দাম বেড়েছে ২১৩টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬টি কোম্পানির শেয়ার দর।

বাজারটিতে লেনদেনের দিক দিয়ে আজ শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় প্রথমেই রয়েছে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড। কোম্পানিটির ২৫ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর বাজার মূল্য ছিল ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে উঠেছে সালভো কেমিক্যাল লিমিটেড। কোম্পানিটির ৩৫ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৬টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ কোম্পানির শেয়ারের বাজার মূল্য ১৪ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। লেনদেনের তৃতীয় অবস্থানে ছিল আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। কোম্পানিটির ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। টাকার অঙ্কে লেনদেনের পরিমাণ ১২ কোটি ৩২ লাখ টাকা। এরপর লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় যথাক্রমে রয়েছে- এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, মালেক স্পিনিং মিলস,স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়্যাল ফান্ড, ফারইস্ট নিটিং এন্ড ডাইং কোম্পানি লিমিটেড ও জেমিনি সী ফুডস।

চট্টগ্রামকেন্দ্রিক শেয়ারবাজার সিএসইতে মঙ্গলবার লেনদেন শেষে প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৫.২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৫০৭২.০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে এদিন ২১৭টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এই কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১০৮টি কোম্পানির, কমেছে ৭৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৩৪টির শেয়ার দর। এছাড়া টাকার অঙ্কে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের দিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হয়েছিল ৬২৪ কোটি টাকা।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত