‘নতুন প্রশাসন নিয়োগের আগে খুলছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’

| আপডেট :  ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৮  | প্রকাশিত :  ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৮:১৮


‘নতুন প্রশাসন নিয়োগের আগে খুলছে না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’

চবি প্রতিনিধি


নতুন প্রশাসন আসার আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে না। নতুন প্রশাসন নিয়োগের পরেই সিদ্ধান্ত নিবে কখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে বলে জানান চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নূর আহমদ।

১৫ আগস্ট, বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১৮ আগস্ট থেকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত আসার পর চবি কবে খুলবে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এসব কথা বলেন তিনি।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনুসের নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আগামী রবিবার দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তবে গতকাল রাতে (১৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিস থেকে প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ব ঘোষিত ১৯ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।

ঐ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ আগস্ট অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৫৫২তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত ‘১’ অনুসারে আবাসিক হলের সিট বরাদ্দ কার্যক্রম এবং ১৯ আগস্ট  থেকে একাডেমিক কার্যক্রম চালুর বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল তা অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে।

তাছাড়া এতে আরো বলা হয়, ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিধানের স্বার্থে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আবাসিক হলসমূহে নতুনভাবে সিট বরাদ্দ না দেয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে প্রবেশ না করার জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার ব্যাপারে রেজিস্ট্রারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যত কোন প্রশাসন না থাকায় খুলবে না বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমির কার্যক্রম শুরু করার যে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে গতকাল রাতে সেটা স্থগিত করা হয়েছে।

রেজিস্ট্রার আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন আসা পর্যন্ত এর একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে না। নতুন প্রশাসন নিয়োগের পরেই তারা সিদ্ধান্ত নিবে কখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে।

কবে নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন নিয়োগ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে এখনো কোনো তথ্য আসেনি, আমরা কিছুই জানি না।

প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১১ আগস্ট শিক্ষার্থীদের টানা আন্দোলনের তোপে উপাচার্যের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। আচার্যের সচিবালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ বরাবর  অব্যাহতি পত্র জমা দেন তিনি ।

বিবার্তা/মহসিন/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত