পরীমণির যাবজ্জীবনও হতে পারে

| আপডেট :  ১১ আগস্ট ২০২১, ০১:৩৩  | প্রকাশিত :  ১১ আগস্ট ২০২১, ০১:৩৩

পরীমণি ওরফে শামসুননাহার স্মৃতির বাসা থেকে বিদেশি মদ ছাড়াও আইস ও এলএসডির মতো ভয়াবহ মাদক জব্দ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর তার বিরুদ্ধে মোট ৫টি মামলা করা হয়। মামলাগুলো তদন্তাধীন। অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলে পরীমণির সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন। এমনটাই বলছেন আইনজীবীরা।

মামলার এজাহার অনুসারে, পরীমণির বাসা থেকে সর্বমোট ১৯টি মদের বোতল উদ্ধার করা হয়। বোতলগুলোর মধ্যে মোট সাড়ে ১৮ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। বোতলগুলো একটি কাঠের ফ্রেমে রক্ষিত ছিল। এ ছাড়াও একটি সাদা জিপারে ৪ গ্রাম আইস এবং এক ব্লট এলএসডি পাওয়া গেছে। মাদক সেবনে ব্যবহৃত একটি বং পাইপও উদ্ধার হয়েছে।

এ ঘটনায় পরীমণি ও তার সহযোগী আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১)-এর ২৪ (খ), ৩৬(১)-এর ২৯(ক), ৩৬(১)-এর ১০(ক), ৪২(১) এবং ৪১ ধারায় মামলা হয়েছে।

উল্লেখিত ধারাগুলো বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১০-১০০ কেজি বা লিটার অ্যালকোহল জাতীয় মাদকদ্রব্য বহন, সেবন বা সরবরাহ করারে সর্বনিম্ন ৩ বছর ও সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে।

মাদকদ্রব্যের পরিমাণ সর্বোচ্চ ১ কেজি অথবা লিটার হলে সর্বনিম্ন ১ বছর ও সর্বোচ্চ ৫ বছর কারাদণ্ড হবে।

এ আইনের ৪২(১) ধারায় বলা হয়েছে- শাস্তির ব্যবস্থা হয়নি এমন মাদকদ্রব্যের ক্ষেত্রেও দণ্ডের বিধান আছে। ধারাটিতে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি এই আইন অথবা কোনও বিধান লঙ্ঘন করে, যার জন্য স্বতন্ত্র কোনও দণ্ডের ব্যবস্থা নেই, তবে তিনি ওই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১ বছর কারাদণ্ডে এবং অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪১ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি মাদকদ্রব্য অপরাধ সংঘটনে কাউকে প্ররোচিত করলে অথবা সাহায্য করলে অথবা কারও সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হলে তিনি নির্ধারিত দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এজাহারে বর্ণিত অপরাধগুলো প্রমাণ হলে পরীমণির সাজা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর হলেও শুরু হয়নি মামলার বিচারিক কার্যক্রম। আদালতে তদন্ত রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে পরীমণির সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সাজা কী হতে পারে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁশুলিদের দাবি সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

পরীমণির অন্যতম আইনজীবী ফখরুল বাহার শাখী বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের যেসব ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, তার সর্বনিম্ন শাস্তি ১ বছর এবং সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ড। তিনি একজন নারী। আইনের ৪৭ ধারানুসারে জামিনযোগ্য হয়েও জামিন পাচ্ছেন না।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (মহানগর পিপি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আবু জানান, চার্জশিট দখিলের সময় আরও তথ্য ও ধারা উল্লেখ করলে বিস্তারিত উঠে আসবে। মাদকের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তবে এ মামলার ক্ষেত্রে চার্জশিট পাওয়া সাপেক্ষে তার (পরীমণির) যাবজ্জীবনও হতে পারে। বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত