পর্যটক শূন্য কক্সবাজার, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

| আপডেট :  ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:২২  | প্রকাশিত :  ২৬ জুলাই ২০২৪, ১০:২২


পর্যটক শূন্য কক্সবাজার, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি


কোটা সংস্কার ইস্যুতে সৃষ্ট কয়েকদিনের টানা চলমান কারফিউ ও সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে পর্যটনশূন্য হয়ে পড়েছে দেশের প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজার। হোটেল-মোটেলে দেখা দিয়েছে মন্দাভাব। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকালে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটক শূন্যতায় সমুদ্র সৈকতসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলো খাঁ খাঁ করছে। এতে করে পর্যটন ব্যবসার ওপর নির্ভরশীল লক্ষাধিক পরিবারের মাঝে চরম দুর্দিন নেমে এসেছে। পর্যটক না থাকায় ব্যবসায় নেমেছে ধস। দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে।

টানা কয়েকদিন দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পরিবহণ সেক্টর। দূরপাল্লার ও অভ্যন্তরীণ সড়কে ছোট বড় সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় পরিবহণ সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোও চরম অর্থ কষ্টে পড়েছে।

এ ছাড়া কক্সবাজারের ছোট বড় ৫ শতাধিক আবাসিক হোটেলে-মোটেলে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। হোটেল রেস্তোরাঁগুলোর অবস্থাও একই। পর্যটন না থাকায় আপাতত কিছুসংখ্যক রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। বিশেষ করে পর্যটন নির্ভর সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর মধ্যে ব্যস্ততা নেই সৈকতের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক-ওয়াটার বাইক চালক ও ঘোড়া ওয়ালাদের।

একই সঙ্গে বালিয়াড়িতে খালি পড়ে আছে কিটকটগুলো। সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলো চরম অর্থ কষ্টে দিনাতিপাত করছে তারা।

জয়নার আবদীন নামে এক রেস্তোরাঁ মালিক জানান, প্রায় ১ সপ্তাহ ধরে চলেছে এই পরিস্থিতি। পর্যটক একদমই নেই। আর আমাদের ব্যবসাটাই হচ্ছে পর্যটনকেন্দ্রিক। দেশে চলমান পরিস্থিতিতে সবকিছু থমকে আছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের ব্যবসায় চরম ধস নেমেছে।

হোটেল ব্যবসায়ী মো. তারেক জানান, আমাদের হোটেল-মোটেল ব্যবসা একেবারেই বন্ধ। হোটেলে একটি রুমেও বুকিং নেই। কয়দিন এ অবস্থা চলবে কে জানে? তবে এই পরিস্থিতি যদি আরও বেড়ে যায় অনেক দুর্ভোগে পড়বো।

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম নেওয়াজ জানান, পাঁচ শতাধিক হোটেল মোটেলে নেই কোন পর্যটক। এমন অবস্থায় লোকসান গুনতে হচ্ছে হোটেল ব্যবসায়ীদের। কিছুদিন আগে চলমান কারফিউর কারণে কিছু পর্যটক আটকা পড়েছিলো মূলত তারা। আসছিল দুই/এক দিনের জন্য। সেসব পর্যটকদেরও কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় তাদের স্ব-স্ব জেলায় সেনা, বিজিবি ও পুলিশের প্রটোকলে পাঠিয়ে দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, চলমান অস্থিরতায় পর্যটন খাতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত