পাঁচ বছরে সম্পদ কমেছে মেয়র আইভীর, কমেছে স্বর্ণালংকারের পরিমাণও

| আপডেট :  ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:১১  | প্রকাশিত :  ২২ ডিসেম্বর ২০২১, ০৯:১১

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে (নাসিক) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর গত পাঁচ বছরে সম্পদ কমেছে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ১৪ শতাংশ কৃষি জমির কথা উল্লেখ করলেও এবার সেটা উল্লেখ করেননি আইভী। কমেছে স্বর্ণালংকারের পরিমাণও। তবে ব্যাংকে ৫ বছরে টাকার পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৮ লাখ টাকা।

আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের কাছে দেওয়া হলফনামায় তিনি এই সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করেছেন।

ব্যাংকে জমা
২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দেওয়া হলফনামায় আইভীর নিজ নামে গাড়ি-বাড়ি বা জমি নেই। মেয়র হিসেবে সম্মানী ছাড়া তার আর কোনো আয়ের উৎস নেই। মেয়র হিসেবে তিনি বছরে ১৯ লাখ ৩৮ হাজার টাকা সম্মানী পেয়ে থাকেন। দীর্ঘদিন মেয়র হিসেবে দায়িত্বে থাকা এ প্রার্থীর হাতে নগদ টাকা রয়েছে এক লাখ ৬৬ হাজার ৪০১ টাকা। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার নামে জমা আছে ২৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

এর আগে ২০১৬ সালের নির্বাচনের সময়ে আইভীর অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ছিল টাকা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা অর্থের পরিমাণ ১৫ লাখ ২১ হাজার ৪৭১ টাকা। এর মধ্যে ২৬ হাজার ১৭৫ টাকা কর দিয়েছিলেন। তার আগে ২০১১ সালে আইভী মোট আয় দেখিয়েছিলেন ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২৬ হাজার ১৭৫ টাকা কর দিয়েছেন।

স্বর্ণালংকার
২০২২ সালের নির্বাচনে হলফনামায় আইভী উল্লেখ করেছেন তার কাছে ৩০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণ ও অলংকার রয়েছে। ৫ বছর আগে ২০১৬ সালে তার স্বর্ণ ও অন্য অলংকার ছিল ২ লাখ ৬০ হাজার টাকার।

অস্থাবর সম্পদ
২০২২ সালের হলফনামায় ইলেকট্রনিক সামগ্রী, আসবাবপত্র এবং কৃষি ও অকৃষিজমির স্থলে ‘প্রযোজ্য নয়’ উল্লেখ করেছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে সম্পত্তি হিসেবে তিনি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১৪ শতাংশ কৃষিজমির কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি ওই সময়ে হলফনামায় উল্লেখ করেছিলেন, বাবার বাড়িতে তিনি বসবাস করেন এবং তার খরচ তার স্বামী বহন করেন। তার দুই ছেলের লেখাপড়ার খরচও স্বামী দেন। তার কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। কোনো ব্যবসাও নেই।

ব্যাংকে শেয়ার বা সঞ্চয়পত্র নেই। অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে ব্যাংকে ১০ লাখ টাকা জমা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। নির্বাচনের খরচ হিসেবে তিনি ওই ১০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। মেয়র হিসেবে তিনি এ টাকা সম্মানী হিসেবে পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেন। ইলেট্রনিক সামগ্রী ২ লাখ টাকার। আসবাবপত্র ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকার। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে যৌথ মালিকানার ১১২ শতাংশ অকৃষি জমির ৮ ভাগের ১ ভাগের মালিক।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত