পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ

| আপডেট :  ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৮  | প্রকাশিত :  ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৮:৩৮


পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগ

রাজনীতি

বিবার্তা প্রতিবেদক


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।

শুক্রবার, ২৪ আগস্ট এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা বলেন, বাঙালি জাতির অস্তিত্ব, আবেগ ও ভালোবাসার অপর নাম স্বাধীনতা, যা অর্জনে এ জাতির রয়েছে আত্মত্যাগের এক গৌরবময় মহাকাব্যিক ইতিহাস। আর এ মহাকাব্যের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংগঠিত ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তর সালের মুক্তি সংগ্রাম, শুধু বাঙালির নয়, সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে এক অবিনাশী আলোকিত অধ্যায়। তিনি পাকিস্তানের কাছে পদানত বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে কাঙ্ক্ষিত বিজয় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন।’

এম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাকিস্তানি স্বৈরশাসকরা বাঙালির মুক্তির জন্য ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করার কারণে বঙ্গবন্ধুকে চার হাজার ৬৮২ দিন কারাবন্দি রেখেছিল। পাকিস্তানিরা ১৯৭১ সালের নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করে ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা আর চার লাখেরও অধিক মা-বোনকে ধর্ষণ করেছে। পাকিস্তানিদের আমৃত্যু অবস্থান স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিরুদ্ধে।’

নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে এটা পরিষ্কার যে, বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের দোসর জামায়াত-শিবির-বিএনপিকে দিয়ে তারা বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হত্যা নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে।

শেহবাজ শরিফদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বাংলাদেশে আপনাদের দোসরদের ভয়াবহ পরিণতির জন্য অপেক্ষা করুন। আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আবার সমৃদ্ধির পথে যাত্রা শুরু করবে। আর পৃথিবীর মানচিত্রে যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, যতদিন বাঙালির রক্তার্জিত ইতিহাস থাকবে, ততদিন প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম, যুগ থেকে যুগান্তরে অমর-অবিনশ্বর হয়ে থাকবেন, বঙ্গবন্ধু নিপীড়িত মানুষের মুক্তির দিশারি হয়ে।’

বিবার্তা/সোহেল/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত