প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা হলে ‘অস্তিত্ব থাকবে না’, সারজিসের হুঁশিয়ারি

| আপডেট :  ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪৭  | প্রকাশিত :  ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০২:৪৭


প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা হলে ‘অস্তিত্ব থাকবে না’, সারজিসের হুঁশিয়ারি

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লবের চেষ্টা করা হলে আওয়ামী লীগের কোনো ‘অস্তিত্ব থাকবে না’ বলে হুঁশিয়ার করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। ক্ষমতা হারানো দলটির নেতারা নিজেদের টিকিয়ে রাখতে চাইলে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে না দাঁড়ানোরও পরামর্শ দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা।

সারজিস বলেন, “ছাত্র জনতার বিপ্লবের বিরুদ্ধে প্রতিবিপ্লব করার চেষ্টা যদি করে, আমরা বলে দিচ্ছি, ৫ আগস্ট যা দেখেছেন, এর পরে আপনাদের আর অস্তিত্ব থাকবে না। যদি নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চান, তাহলে ভুলেও ছাত্র জনতার বিপক্ষে গিয়ে একটি কথা বলার স্পর্ধা দেখাবেন না।

১৫ আগস্ট, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘রেজিস্ট্যান্স উইকের’ অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচিতে কথা বলছিলেন সারজিস।

তিনি বলেন, “যে ফ্যাসিস্ট সরকার ১৬ বছর ধরে এদেশের মানুষকে শোষণ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে বিপ্লব ঘটিয়েছে। যেই জায়গায় কেউ যদি আবার প্রতিবিপ্লবের কথা ভুলেও মুখে নেয়, তার মানে পুরো ছাত্র জনতার বিপক্ষে একটি ঘোষণা দিচ্ছে।”

আন্দোলনকারীরা আদালতকে ‘শেখ হাসিনার মতো করে ব্যবহার করতে চায় না’ মন্তব্য করে এই সমন্বয়ক বলেন, আওয়ামী লীগ শাসনামলে বেশিরভাগ মামলার বিচার হয়েছে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অথবা প্রতিহিংসার কারণে। আমরা এমন একটি আন্তর্জাতিক মানের বিচার নিশ্চিত করব, যেটি নিয়ে পুরো বিশ্বের কেউ কোনো প্রশ্ন না করতে পারে। সেই জায়গা থেকে আমাদের দাবিটি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে। আমরা চাই, বিশ্ববাসী দেখুক ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য তারা কত মানুষ খুন করেছে।

সরকারপতনের পর ‘আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লব’ ঠেকাতে চার দফা দাবি নিয়ে মঙ্গলবার থেকে ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

এর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘সর্বাত্মক অবস্থান’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকার শাহবাগ চত্বরে সকাল ১০টায় জড়ো হন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থকরা। তবে আন্দোলনকারীদের অধিকাংশ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থান করছেন।

সকাল থেকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার জন্য বা আওয়ামী লীগ পরিচয়ে কেউ এলে তাকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকজন মারধরের শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ এসেছে।

বিবার্তা/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত