প্রতিরোধসহ ১৫ দফা দাবি চরমোনাই পীরের

| আপডেট :  ০২ জুলাই ২০২২, ০৭:৩০  | প্রকাশিত :  ০২ জুলাই ২০২২, ০৭:৩০

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, সরকার অতিমাত্রায় ভারতপ্রেমী হওয়ায় ভারতের অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করতে পারছে না। ভারতের পানি আগ্রাসন ও সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার কোন কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে পারছে না। শনিবার বিকেলে রাজধানীর বাইতুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে গণমিছিল পূর্ব জমায়েতে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ভারতের পানি আগ্রাসনের প্রতিবাদসহ ১৫ দফা দাবি আদায়ের দাবিতে এ গণমিছিলের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড়, শান্তিনগর মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয়। পরে মিছিলটি সেখানেই শেষ হয়।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ভারতে বিজেপি নেত্রী কর্তৃক রাসূল সা. এবং উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. এর শানে কটুক্তির প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলেও আমাদের সরকার ভারতের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনতে পারেনি। তাদের কাছে নবীর ভালবাসার চেয়েও ভারতের ভালবাসা বেশি।

চরমোনাই পীর বলেন, আমাদের সরকার ভারতের অন্যায্য পানি প্রত্যাহার ও বাঁধ নির্মানকে যৌথ আলোচনা বা আন্তর্জাতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে পারেনি। বছরের পর বছর ভারত অব্যাহতভাবে পানি আগ্রাসন চালিয়ে কোটি কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা ধ্বংস করছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা বিনষ্ট করছে অথচ সরকার কোন ধরনের প্রতিকার করতে পারেনি বরং নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারতীয় পানি আগ্রাসন এখন দেশের মানুষের বাঁচা-মরার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের এই ব্যর্থতা আর মেনে নেয়া যায় না।

তিনি বলেন, এই সরকার বিগত একযুগের বেশি সময় ধরে জনমতকে উপেক্ষা করে ক্ষমতায় জেঁকে বসে আছে।

ভোটাধিকার হরণ করা, খুন-গুম করে ভিন্নমত দমন করা, উন্নয়নের নামে সীমাহীন লুটতরাজ করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আছে। এরা দেশের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করতে মদসহ মাদকের সয়লাব ঘটাতে মদের লাইসেন্স দিচ্ছে, শিক্ষা থেকে ধর্মীয় শিক্ষাকে সরিয়ে দিচ্ছে।

সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দুর্নীতি, দলীয় কর্মী তোষণের কারণে দ্রব্যমূল্য জনতার নাগালের বাইরে চলে গেছে। মানুষ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে আর সরকার উন্নয়ন দেখিয়ে লুটতরাজ সমাপ্তির উৎসব করেছে। সার্বিকভাবে এই সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন নাগরিকদের সম্মান-সমৃদ্ধি ও সম্ভবনার জন্য বিপদজনক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। এই অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য একটি গণ আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই।

গণজমায়েতে আরো বক্তব্য রাখেন- দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম, কেএম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের সেক্রেটারী জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান মুজাহিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নুরুল করীম আকরাম, শ্রমিক নেতা আলহাজ্ব আব্দুর রহমান ও ডা. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। গণমিছিল পূর্ব সমাবেশ পরিচালনা করেন দলের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত