প্রত্যেক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হবে

| আপডেট :  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:৪৭  | প্রকাশিত :  ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৫:৪৭

প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা রক্ষায় দেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। এই কার্যক্রম বাস্তবায়নে অপেক্ষাকৃত তরুণ শিক্ষক মনোনীত করে তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। নিয়মিত শ্রেণি পাঠদানের পাশাপাশি শারীরিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষক।

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘জাইকার সহযোগিতায় প্রতিটি বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। শ্রেণি পাঠদানের পাশাপাশি ওই শিক্ষক শারীরিক শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। শিক্ষার্থীদের শারীরিক সুস্থতা ঠিক রাখার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক শিক্ষার ওপরে মানসিক সুস্থতা অনেকটাই নির্ভর করে। তাই গুরুত্বসহকারে কাজটি করা হচ্ছে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষককে শারীরিক শিক্ষক হিসেবে প্রস্তুত করতে চলতি বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে জাইকা আয়োজিত ‘ই্যসু ফোকাসড ট্রেনিং কোর্স অন ফিজিক্যাল এডুকেশন কোর্স (ইয়াং লিডার্স)’ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষক মনোনয়ন করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের তথ্য আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশনায় শিক্ষক মনোনয়নে সুনির্দিষ্ট কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিভাগীয় উপ-পরিচালকদেরকে অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষক মনোনয়ন করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনার বলা হয়েছে— মনোনীত শিক্ষকের বয়স অবশ্যই ৪৫ বছর বা তার নিচে হতে হবে। মনোনীত শিক্ষকের সার্টিফিকেট ইন এডুকেশন (সিইনএড) অথবা ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। নাম প্রত্যাহারের সম্ভাবনা আছে এমন শিক্ষককে মনোনয়ন করা যাবে না।

এছাড়া মনোনীত শিক্ষকের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ক শিক্ষকতার ন্যূনতম ৫ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিষয়ভিত্তিক শারীরক শিক্ষা প্রশিক্ষণ থাকতে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারে দক্ষ হতে হবে। নিজস্ব কম্পিউটার, ল্যাপটব অথবা ট্যাব থাকতে হবে। আর নিজ ব্যবস্থাপনায় ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, শর্ত অনুযায়ী শিক্ষক মনোনয়ন দিতে হবে। শর্তপূরণ করার ক্ষেত্রে কিছু ঘাটতি দেখা দিলে অপেক্ষকৃত অভিজ্ঞ শিক্ষককে মনোনয়ন দিতে হবে। তবে শিক্ষকের বয়স অনূর্ধ্ব ৪৫ বছর এবং ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে অভিজ্ঞ প্রার্থীকে বাছাই করতে হবে।

জাইকা’র চাহিদা মোতাবেক পাঠানো নির্বাচিত শিক্ষকের সকল তথ্য ফরম ও আনুসঙ্গিক ডকুমেন্টসের ফটোকপি ইমেইলে ([email protected]) আগামী ৮ সেপেটম্বরের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠাতে উপরিচালকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া শিক্ষকদের সকল তথ্য তিন সেট হার্ড কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপরিচালককে পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত