প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস শুরু নিয়ে যা জানা গেল

| আপডেট :  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:৪৪  | প্রকাশিত :  ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:৪৪

করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তিন সপ্তাহ পর প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। তবে আপাতত সে পরিকল্পনা স্থগিতই থাকছে। এখনই তা শুরু হচ্ছে না প্রাক প্রাথমিকের ক্লাস। করোনা সংক্রমণের এই পরিস্থিতিতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সরকারি প্রাথমিকে বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, পরিকল্পনা অনুযায়ী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান শুরুর তিন সপ্তাহ পর প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা ছিল।গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়। ইতোমধ্যে তিন সপ্তাহ পার হয়ে গেছে। কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক খোলার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।এমনকি প্রতিদিনের চলমান শ্রেণি কার্যক্রমে নতুন করে কোন ক্লাস যুক্ত করাও হবে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন,‘আপাতত যেভাবে চলছে সেভাবেই বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কার্যক্রম চলবে প্রতিদিন। প্রাক-প্রাথমিক ছাড়া অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে একদিন করে বিদ্যালয়ে আসবে। প্রত্যেক শ্রেণির তিন বিষয়ের শ্রেণিপাঠ চলছে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুসারে পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে স্থানীয়ভাবে পাঠদান পরিকল্পনা নতুন করে করার কথা বলা আছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে যেভাবে চলছে সেভাবেই চলবে। আপাতত নতুন ক্লাস যুক্ত হবে না।আর পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।’

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুরুর পর দেশের করোনা সংক্রমণ কমেছে। তবে শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের পাঠদান শুরুর যারা শনাক্ত হয়েছে তাদের প্রায় সবাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস করানো হলে শিশুদের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। বর্তমানে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানা সম্ভব হলেও প্রাক-প্রাথমিক খুলে দিলে তা সম্ভব হবে না। তাই এখনই প্রাক-প্রাথমিক না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর থেকে প্রতিদিন পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রেণি পাঠদান পরিচালিত হচ্ছে। অন্যান্য শ্রেণির পাঠদান চলছে সপ্তাহে একদিন করে। দিনে তিনটি বিষয়ে শ্রেণি পাঠদান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দিনে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। তবে দ্বিতীয় শিফট থাকলে বিকালে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টার শিফট পরিচালিত হচ্ছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত