প্রাথমিকের উত্তীর্ণদের জুলাইয়ে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত

| আপডেট :  ২১ মার্চ ২০২২, ০৯:১৫  | প্রকাশিত :  ২১ মার্চ ২০২২, ০৯:১৫

আগামী এপ্রিলের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এবং উত্তীর্ণদের জুলাইয়ে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় হবে, নাকি জেলায় জেলায় নেওয়া হবে, তা নিয়ে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে ইতোমধ্যে বিরোধিতা করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হলে মামলার প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলা থেকে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরও নতুন করে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাবনা তৈরি করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

রবিবার (২০ মার্চ) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এ বিষয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছে। বৈঠকে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তুতির কথা বলা হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে হবে, নাকি জেলায় জেলায় হবে, সে সিদ্ধান্ত নেবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে তা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে নতুন করে। কোন জেলায় কতটি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেসব ব্যবস্থা নেওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্কত বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে নাকি জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকায় পরীক্ষা নেওয়ার সব ব্যবস্থা প্রস্তুত রয়েছে। দ্বিতীয় অপশন রাখা হয়েছে জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়া। জেলায় জেলায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত করলে সেভাবেই হবে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন হলে মন্ত্রণালয় নেবে। সিদ্ধান্ত যেটাই চূড়ান্ত হোক, অধিদফতর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে গত ১০ মার্চ দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার।

ওই সভায় জানানো হয়, সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা মহামারির বাস্তবতায় নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। এরই মধ্যে অবসরজনিত কারণে আরও ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়েছে। এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ সমস্যা নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত