প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

| আপডেট :  ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪০  | প্রকাশিত :  ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৮:৪০


প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী

বিবার্তা প্রতিবেদক


সোনালি ব্যাগ ও পাট ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত পণ্য বাণিজ্যিকভাবে বাজারে এনে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।

৩ জুলাই, বুধবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

পলিথিন বন্ধ করে বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মানুষের অন্যতম শত্রু পলিথিন বন্ধ করতে বিকল্প ব্যাগ হিসেবে সোনালি ব্যাগ আবিষ্কার করা হয়েছে। এই ব্যাগ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বাজারে এনে বাণিজ্যিক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

পাটমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছিল পাট দিয়ে চা কেন উৎপাদন হবে না। তিনি পাটের চা উৎপাদন করতে বলেছেন। আমি আপনাদের কাছে শুভসংবাদ দিতে চাই, এরইমধ্যে রোজেলা টি ও পাটপাতার চা নামে দুটি চা আবিষ্কার প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এই রোজেলা টিতে অনেক উপকার আছে। আমরা এগুলো শিগগিরই বাজারজাত করব। বাণিজ্যিক পর্যায়ে চলে যেতে পারব।

পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পলিথিনের বিকল্প আবিষ্কার করেছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ‌সেটিও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদনে আনা হবে। আশা করছি, সফল হব। এক্ষেত্রে সফল হলে প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করে বাজার থেকে উঠিয়ে নেয়া হবে।

সোনালি ব্যাগ ও পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট যে ব্যাগ আবিষ্কার করবে, সেটার দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করব। কারণ আমি যখন বাজার করব, চার প্রকারের সবজি কিনব, তখন চারটি পলিথিন ব্যাগ দেওয়া হয়। যখন বলি, এগুলো একটি ব্যাগে ঢুকিয়ে দেন, তখন আরেকটি পলিথিনের ব্যাগের মধ্যে এই চারটি ব্যাগ ঢুকিয়ে দেয়া হয়। অর্থাৎ পলিথিন এখন বাজারে এমনভাবে গেড়ে বসেছে যে, এটি মানবজীবনের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। এ নিয়ে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গেও কথা বলেছি, বলেন নানক।

তিনি আরো বলেন, চাল, ডাল, আলু, পিঁয়াজসহ ৮২টি পণ্য আছে, যা বহন করতে পাটের ব্যাগ ব্যবহারে সরকারের নির্দেশনা রয়েছে। আমরা খুলনা, দিনাজপুর, রংপুর, ফরিদপুর, নরসিংদী ও সিলেট সফর করে দেখেছি যে শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য রফতানি করতে হলে আমাদের দেশের পাট উৎপাদন আরো বাড়াতে হবে। আমরা সেজন্য সব চেষ্টা করছি। পাট উৎপাদন এলাকাও আরো বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা ক্ষেত্র বাড়ানোর চেষ্টা করছি। পাশাপাশি পাটপণ্যেও বৈচিত্র্য আনতে চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিবার্তা/ইমি/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত