ফেনীতে শিশু লামিয়া হত্যা : মায়ের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন
ফেনীর পরশুরামে উম্মে সালমা লামিয়া (৭) কে হত্যার ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে তার মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম আয়েশা আক্তার (৩৩)। চার বছর আগে লামিয়ার পিতা নুরুন নবী তাকে তালাক দেন। ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। তবে লামিয়া হত্যায় জড়িত দুই হেলমেটধারী যুবককে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে পরশুরামের বাঁশপদুয়ার এয়ার মোহাম্মদের বাড়িতে হেলমেট পড়া দুইজন যুবক বাসার দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে স্কচ টেপ দিয়ে লামিয়ার মুখ, হাত ও পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে। টের পেয়ে পাশের কক্ষে থাকা লামিয়ার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা (১২) পাশের বাসায় লুকিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়। নিহতের পিতা নুর নবী বলেন, তালাকের পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে আয়েশার সাথে দ্বন্দ্ব চলছে। সে আগে হুমকি দিয়েছিল। পরিকল্পিতভাবে লামিয়াকে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যা করেছে আয়েশা। প্রাণে বেঁচে যাওয়া ফাতেমার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, যে দুজন লোক দুটি মোটরসাইকেলে এসে লামিয়াকে হত্যা করেছে। আমার মায়ের সাথে দেখেছি। হত্যাকারীরা আয়েশার ঘনিষ্ঠ লোক। পরশুরাম থানার অফিসার ইনচার্জ শাহাদাত হোসেন খান বলেন, পিতামাতার দাম্পত্য কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্তে আয়েশার সম্পৃক্তা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। আদালতে সোপর্দ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। বিবার্তা/মনির/জবা
ফেনীতে শিশু লামিয়া হত্যা : মায়ের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন
সারাদেশ
ফেনী প্রতিনিধি