বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব করা যাবে না : কাদের সিদ্দিকী

| আপডেট :  ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৬  | প্রকাশিত :  ৩০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:১৬


বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব করা যাবে না : কাদের সিদ্দিকী

রাজনীতি

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি


বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, আমি আগেও বঙ্গবন্ধুর ছিলাম, যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করেই বেঁচে থাকবো। বঙ্গবন্ধুর আদর্শই আমার আদর্শ। কিছু অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে আমি সব সময় ছিলাম আছি, আগামীতেও থাকবো। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সাফল্য আমি মনে প্রাণে কামনা করি এবং বিশ্বাস করি। কারণ আগে দেশটা আমার ভালো চলে নাই। তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে বাংলাদেশের নেতৃত্ব করা যাবে না।

তিনি আরও বলেন, আমার প্রেম আমার ভালোবাসা সমস্তটাই বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুকে না পেলে আমি একজন রিক্সাওয়ালা হতাম অথবা রাখাল হতাম। বঙ্গবন্ধুকে পাওয়ার পর আমি দেশকে ভালোবাসতে শিখেছিলাম। অনেকেই দেশপ্রেমের কথা বলে কিন্তু দেশপ্রেম এত সহজ জিনিস না। এখন মানুষের আয়ু একটু বাড়ছে, কিন্তু মানবতা কমেছে। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দেশত্ববোধ কমে গেছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন বঙ্গবন্ধুর সম্মান রক্ষা করে।

শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, টুঙ্গিপাড়ার মানুষদের অভিনন্দন জানাই। এরকম একটা দুর্বিপাকের মধ্যেও তারা জাতির পিতার যথাযথ সম্মান রেখেছে।

সেই সাথে মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু ও জনগণের আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর উত্তম বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী।

বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমি আওয়ামী লীগের কোনো দুর্দিন দেখি নাই। কারন মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয়। যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে আর বর্তমান আওয়ামী লীগ এক নয়। আমি একটা দল করেছি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ নামে। যার প্রতিক গামছা। দলের একমাত্র উদ্দেশ্য মানুষকে পাহারা দেয়া, মানুষের সেবা করা।

তিনি বলেন, আমি আমার রাজনৈতিক পিতার মুক্তির কারণেই টুঙ্গিপাড়া এসেছি। সবাই যখন ইঁদুরের গর্তে ছিল তখন বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছিলাম। তার জন্য আমি সম্মান পাইনি। মানুষের কাছ থেকে পেয়েছি কিন্তু যাদের কাছ থেকে পাওয়া দরকার ছিল তাদের কাছ থেকে সম্মান পায়নি বরং অনেক অসম্মান হয়েছি। টুঙ্গিপাড়ার গিমাডাঙ্গা স্কুল মাঠে বঙ্গবন্ধুর জন্য আমরা শোক দিবস পালন করতে চেয়েছিলাম। সেখানে কিন্তু আমাদের গাড়ি ভাঙা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের লোকেরাই ভেঙে ছিল।

এর আগে তিনি টুঙ্গিপাড়া পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বিশ্রামাগারে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। পরে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারত করেন বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এরপর বঙ্গবন্ধুর কবরের পাশে একান্তে দোয়া মোনাজাত করেন তিনি। এ সময় ভাই আব্দুল ল‌তিফ সি‌দ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম দেলোয়ার,  দলের সদস্য ফ‌রিদ আহমেদ, আব্দুর রহমান, পারভেজ, হা‌বিবুন নবী সোহেল, আরমান হোসেন তাপস সহ গাজীপুর, নারায়গঞ্জ, মির্জাপুর, স‌খিপুর, মধুপুর, বাশাইল ও ঢাকার শতা‌ধিক দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিবার্তা/শান্ত/এসবি

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত