বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা কাজে লাগাতে চায় নেপাল

| আপডেট :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৭  | প্রকাশিত :  ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৭


বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের ধারণা কাজে লাগাতে চায় নেপাল

স্বাস্থ্য

বিবার্তা প্রতিবেদক


দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করে বাংলাদেশ সরকার, যা ইতোমধ্যে জাতিসংঘসহ সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিকের এই ধারণাকে নিজের দেশে কাজে লাগাতে চায় নেপাল সরকার।

৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দফতরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে নেপালের রাষ্ট্রদূত এইচ এ ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি এ কথা জানান।

এ সময় নেপাল দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব মিসেস ইয়োজনা মাবজান উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সাক্ষাৎকালে নেপাল সরকারের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে বাংলাদেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বিশেষ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে কীভাবে নেপালেও কাজে লাগানো যায়, এ বিষয়ে নেপাল রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের কাছে জানতে চান।

জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নেপাল রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সামন্ত লাল বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপনের চিন্তা এবং এর সম্প্রসারণ সবই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মস্তিষ্ক নিঃসৃত ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রীর এই দূরদর্শী চিন্তার ফসল হিসেবে স্বাস্থ্যসেবা এখন বাংলাদেশের একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে গেছে। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত প্রায় ৭৮টি দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই ধারণাকে গ্রহণ করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে ৩২ রকমের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এসব ক্লিনিকের সেবার পরিধি আরও বিস্তার করার চিন্তাভাবনা চলছে। নেপাল সরকার এই কনিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে নিজ দেশে কাজে লাগাতে চাইলে বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।

বৈঠকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে বর্তমানে কর্মডেবা নামে একজন ভুটানের রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে নেপাল রাষ্ট্রদূতকে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সামন্ত লাল বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ভুটান থেকে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। ভুটানে ওই রোগীর যে চিকিৎসা সম্ভব হয়নি সেটি এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। অনুরূপভাবে নেপাল থেকেও কোনো গুরুতর রোগী চিকিৎসা নিতে বাংলাদেশে এলে তাদেরকেও চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে।

সাক্ষাতে নেপাল রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের মেডিকেল কলেজগুলোতে নেপালের অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার বিশেষ সুযোগ দেওয়ার অনুরোধ করেন। একইসঙ্গে নেপাল-বাংলাদেশ স্বাস্থ্য পর্যটন খাত তৈরি করা বিষয়েও আলাপ করেন।

সাক্ষাৎকালে উভয় দেশে ভ্যাকসিন সযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা, প্রাইমারি স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধি করা, চিকিৎসক এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ বিনিময় করার বিষয়েও কথা হয়।

বিবার্তা/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত