বাংলাদেশ-ইইউ চুক্তি শিগগিরই

| আপডেট :  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৯  | প্রকাশিত :  ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:৫৯


বাংলাদেশ-ইইউ চুক্তি শিগগিরই

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে শিগগিরই নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে (পিসিএ) সই করতে যাচ্ছে ইইউ। এই চুক্তির ভিত্তি হবে গণতন্ত্র, সুশাসন, মানবাধিকার এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল। এর মধ্যে দিয়ে দুই পক্ষের সম্পর্ক আরও বাড়বে।

১৭ জানুয়ারি, বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকের পর ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

চার্লস হুইটলি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে এটি আমার প্রথম বৈঠক। বেলজিয়ামের সঙ্গে তার জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। কারণ, তিনি সেখানেই লেখাপড়া করেছেন। আর বেলজিয়াম হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান কার্যালয়।

ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, বৈঠকে ইইউ-বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের মধ্যে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, আমাদের অনেকগুলো এজেন্ডা রয়েছে। শিগগির নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্টে (পিসিএ) সই করতে যাচ্ছি আমরা। এটি ব্যাপক ও নতুন প্রজন্মের চুক্তি।

তিনি আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতসহ বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়েও আমাদের কথা হয়েছে। এ বিষয়গুলোকে আমরা অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটও উঠে এসেছে। এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার সম্পর্ক রয়েছে। আগামীতেও বহু বছর ধরে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।

তিনি বলেন, আমাদের বৈঠক ছিল খুবই ফলপ্রসূ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও এগিয়ে যাবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।

বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইইউ প্রতিনিধিদলের প্রধান চার্লস হুইটলি বলেন, আমি মনে করি, নতুন অংশীদারত্ব সহযোগিতা চুক্তির (পিসিএ) ভিত্তিতে আগামী পাঁচ বছরে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় পরিবর্তন আসবে। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি রয়েছে, সেটির চেয়ে এটির (পিসিএ) ধরণ অনেকটা রাজনৈতিক। কারণ, আগের চুক্তি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগিতার। যা এখনো বর্তমান আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে চার্লস হোয়াইটলি বলেন, আমার মনে হয় আগামী পাঁচ বছর আমরা বাংলাদেশ ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সম্পর্কের মধ্যে বড় ধরনের একটা পরিবর্তন দেখব এবং এর মূল চলনশক্তি হবে নতুন পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ২০০১ থেকে বলবৎ আমাদের যে চুক্তিটি রয়েছে, সেটির থেকে পার্টনারশিপ কো-অপারেশন অ্যাগ্রিমেন্ট অনেক বেশি রাজনৈতিক হবে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি হচ্ছে।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত