বিএনপির অফিস এখন ‘কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়’

| আপডেট :  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৩৯  | প্রকাশিত :  ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৩৯

রাতারাতি বিএনপি অফিসে সাঁটানো হয়েছে সাইনবোর্ড, তাতে লেখা- উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও। তবে দায়িত্বশীল কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের কেউ এ সাইনবোর্ড লাগাননি। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া এলাকায় বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ দৃশ্য দেখা গেছে।

জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর জানান, ঠাকুরগাঁও রুহিয়া থানা বিএনপির কার্যালয়ের জায়গাটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। ১৯৯৬ সালে তার বাবা আবদুল জব্বার চৌধুরী ৫৩ শতক জমি বিএনপিকে কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য দেন। সেই থেকে বিএনপি ওই জায়গা ব্যবহার করে আসছে।

জানা গেছে, ‘জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের নেতা হত্যা’র প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বেলা ৩টায় রুহিয়া থানা বিএনপি বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আহ্বান করে। অন্যদিকে একই দিন ‘বিএনপির সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচির ডাক দেয় রুহিয়া থানা মহিলা আওয়ামী লীগ।

এ ঘটনার জেরে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে রুহিয়া ইউনিয়নের রামনাথ এলাকা থানা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করে আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার চার দিনের মাথায় আজ সকালে স্থানীয় লোকজন থানা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে বাঁশের খুঁটিতে টাঙানো একটি সাইনবোর্ড দেখতে পান। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগোজুড়ে দিয়ে সেখানে লেখা হয়েছে, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রুহিয়া, ঠাকুরগাঁও।’

জেলা বিএনপির সভাপতি মো. তৈমুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, জমির মালিকের সম্মতিতে ২৫ থেকে ২৬ বছর ধরে এই জায়গা বিএনপি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা কোনও সরকারি জমি নয়। সরকারি দপ্তরের নাম দিয়ে একটি গোষ্ঠী এই জমি দখলে নিতে চাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সারা দেশে বিএনপির ওপর সরকার যে নির্যাতন-হয়রানি চালাচ্ছে, এটি তারই অংশ। তা না হলে কার্যালয়ে সরকারদলীয় লোকজনের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পর এ ঘটনা ঘটবে কেন?

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল্লাহ বাবু বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির কার্যালয়ে কৃষি বিভাগের সাইনবোর্ড ঝোলায়নি। এমনটি করে অন্য কেউ ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

এদিকে বুধবার রাত ১১ টা পর্যন্ত এই অযাচিত সাইনবোর্ড কেউই সরায়নি। জেলা বিএনপি সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, ‘যেহেতু কৃষি অফিস বলছে এ সাইনবোর্ড তাদের নয়, সেহেতু তাদের নাম দিয়ে এই অন্যায় সাইনবোর্ড অপসারণ তাদেরই করা উচিৎ। অন্যথায় থানা বিএনপি নিজেই এই ব্যবস্থা করবে।’

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত