বিজয়নগরে নদীর পার কেটে ভরাট, হবে গরুর বাজার!
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আউলিয়াজুড়ি নদীর পার কেটে ভরাট করা হচ্ছে। আর মাটি আনা হচ্ছে পার ঘেঁষা সরকারি জমি থেকে। ভরাট করা পার ও ওই মাটি আনা সরকারি জমি ভরাট করে সেখানে বাজার এর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এ নিয়ে ভরাটকারিদের কাছ থেকে ভিন্ন রকমের বক্তব্য পাওয়া গেছে। আবার উপজেলা প্রশাসনের বক্তব্যের সঙ্গেও ভরাটকারিদের বক্তব্যের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। এলাকার স্থানীয়রা বলছেন, মূলত বাজারের পরিধি বাড়াতে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সরকারি ওই জায়গা দখলে নেমেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিজয়নগর উপজেলার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক কেন্দ্রস্থল চম্পকনগর বাজার। আখাউড়া-চান্দুরা সড়কের ঠিক পাশেই বাজারটির অবস্থান। আখাউড়া থেকে চান্দুরা যেতে চম্পকনগর ইউনিয়নের নূরপুর বাজারের ঢোকার পথে আউলিয়াজুড়ি নদী বয়ে যেতে দেখা যায়। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, গত দু’দিন ধরে চম্পকনগর বাজারের পূর্বপাশে অবস্থিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের লাগোয়া দক্ষিণ পাশেই নদীর পার কেটে সরকারি জায়গা ভরাট করা হচ্ছে। মাটি তোলা হচ্ছে নদীর পারের জমি থেকে। ওই জমিগুলোও সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত। নদীর পার ভরাট শেষে মাটি আনা জায়গাসহ পুরোটায় নতুন করে মাটি ফেলে আগের বাজারের সমান উঁচু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত ভেকুর পরিচালনাকারী হাবিব মিয়া বলেন, আমাকে বলা হয়েছে পাশের নবী চৌধুরীর জমি থেকে মাটি নিয়ে নদীর পারে ফেলার জন্য। শুনেছি মাটি কাটার জন্য নবী চৌধুরী থেকে জায়গাটি কেনা হয়েছে। এর বাইরে আমি কিছু জানি না। সব কিছুই করছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান। বাজার বাড়ানোর স্বার্থে এটা করা হচ্ছে বলে শুনেছি। নবী চৌধুরী বলেন, জায়গাটি আমাদের মালিকানাধীন। অনেকদিন ধরে আমাদের দখলে থাকলেও বিভিন্ন কারণে দলিল হয়নি। যে কারণে এ জায়গাটি জেলা প্রশাসকের অধীনে চলে গেছে। প্রায় ৫০ শতকের মতো জায়গা বাজারের স্বার্থে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের সবাই মিলে চাওয়ায় আমি আমার এ জমিটি দিয়ে দিয়েছি। চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, জায়গাটি নবী চৌধুরীর। আমরা কিনেছি। পাশের জমি যার নদীর পার তার। দরকার হয় সরকারের ঘরে টাকা দিবো। ইউএনওসহ সবাই জায়গা ভরাটের বিষয়টি জানে। আমরা এখানে গরুর বাজার ও মাছের বাজার করবো। বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন, নদীর পার যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য মাটি ফেলবেন বলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এখানে বাজার করার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এখানে যদি বাজার করতে হয় তাহলে আবেদন করতে হবে। তখন বিষয়টি ভেবে দেখা হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, আমি এ বিষয়ে খবর নিব। বিবার্তা/নিয়ামুল/সউদ
বিজয়নগরে নদীর পার কেটে ভরাট, হবে গরুর বাজার!
সারাদেশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত