বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী: ন্যাপ

| আপডেট :  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৭  | প্রকাশিত :  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:১৭


বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী: ন্যাপ

রাজনীতি

বিবার্তা প্রতিবেদক


বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সিদ্ধান্ত হবে আত্মঘাতী ও মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত দেশের সাধারণ জনগণ এবং সরকারকে বেকায়দায় ফেলবে মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি – বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

নেতারা বলেন, বর্তমান বি‌শ্বের সংকটময় প‌রিস্থি‌তি‌তে বিদ্যু‌তের মূল্যবৃদ্ধির ফলে পণ্যদ্রব্যের মূল্যস্ফীতি ব্যাপকহারে বে‌ড়ে যা‌বে। তাই প্রস্তাবটি স্থগিত রাখা উচিত।

নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান সংকটময় প‌রিস্থি‌তি‌তে যারা বিদ্যু‌তের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব দি‌চ্ছেন তার মূলত সরকার‌কে বেকায়দায় ফেলতে চান। সময় থাকতে সরকারকে তা বুঝতে হবে।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি হলে সব ধরনের পণ্যের মূল্যও বৃদ্ধি পাবে বলে মন্তব্য করে তারা বলেন, এর প্রভাব পড়বে জনজীবনের ওপর, যা দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। যার দায়ভার তখন সরকারকেই বহন করতে হবে। এরপরও যদি মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে সাধারণ মানুষের পকেট কাটার শামিল।

নেতৃদ্বয় বলেন, এখন বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সময় নয়। যে চেষ্টা হচ্ছে, সেটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ নিত্য পণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির ফলে জনজীবন যখন দুর্বিষহ তখন মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বৈশ্বিক মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটের ফলে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল এবং উৎপাদন উপকরণসহ সব খাতে ব্যাপক মূল্য বৃদ্ধি, মাত্রাতিরিক্ত পরিবহণ ব্যয় ও ব্যবসা পরিচালনার খরচ বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় সর্বত্র মূল্যস্ফীতির হার দুই সংখ্যার বেশি। এতে জনজীবনে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি সৃ‌ষ্টি হতে বাধ্য।

বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রভাবে বহুমুখী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার উদ্ভব হবে জানিয়ে তারা বলেন, এর প্রভাবে কৃষি, শিল্প, সেবা এবং সার্বিকভাবে সাধারণ জনগণের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। সর্বোপরি, অর্থনৈতিক উন্নয়নের চলমান ধারা মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হবে।

তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সাল থেকে সমন্বয়ের নামে পর্যায়ক্রমে ১৫ বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। সর্বশেষ গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছিল। ডলারের সঙ্গে টাকার মূল্যমানের হ্রাসের যে অজুহাত দেওয়া হয়েছে। আমদানি রফতানির নামে ডলার পাচার, ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সাধারণ মানুষ জড়িত নয়। অথচ এর দায় বহন করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই। ২০০ ইউনিটের নিচে ৩৪ পয়সা এবং বেশি ব্যবহারকারীদের ৭০ পয়সা প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ যেমন বাড়াবে, তেমনি সরকার ও লুটপাটকারীদের দায় এড়ানোর পথ তৈরি করবে।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত