বৃষ্টির সকালে ঢাকার বাতাসে স্বস্তি

| আপডেট :  ০১ জুলাই ২০২৪, ১১:০২  | প্রকাশিত :  ০১ জুলাই ২০২৪, ১১:০২


বৃষ্টির সকালে ঢাকার বাতাসে স্বস্তি

সারাদেশ

বিবার্তা প্রতিবদেক


জলবায়ু পরিবর্তনসহ করণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাতাসে বাড়ছে দূষণের মাত্রা। দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বাতাসও দূষণের কবলের মধ্যে রয়েছে। তবে গত কয়েক দিনে শহরটির বাতাসে দূষণ কিছুটা কমেছে।

সোমবার (১ জুলাই) আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার জানাল এদিন ঢাকার বাতাস মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ রয়েছে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কিনশাসা।

আর বর্ষার মাস শুরুর হওয়ায় ঢাকায় কমেছে দূষণ। যার ফলে মাঝারিতে রয়েছে ঢাকার বায়ু দূষণ। এদিন সকাল ১০টা ০৭ মিনিটের দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ৯৪ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ ১০তম নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। যা বায়ুমানের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ সময় আইকিউএয়ারেরে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কিনশাসা। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা। আবার ১৬০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শহর দুবাই, চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, যার স্কোর ১৬০। পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরবের শহর রিয়াদ, যার স্কোর ১৩৪।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

বিবার্তা/মাসুম

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত