বেহাল দশা রাজবাড়ী সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের

| আপডেট :  ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭  | প্রকাশিত :  ২৫ জুলাই ২০২৪, ১২:৩৭


বেহাল দশা রাজবাড়ী সরকারি হাঁস-মুরগি খামারের

রাজবাড়ী প্রতিনিধি


অব্যবস্থাপনা আর সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে রাজবাড়ীর সরকারি হাঁস-মুরগি খামার। মান্ধাতা আমলের শেড, আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব আর জনবল সঙ্কটে ধুঁকছে সেবামূলক এই প্রতিষ্ঠানটি।

সরেজমিনে ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮২ সালে জেলায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে ২ একর ৮৮ শতাংশ জমির উপর গড়ে ওঠে রাজবাড়ী সরকারি হাঁস মুরগি খামার। বর্তমানে মুরগির ফার্ম এলাকায় অস্থায়ী বাসস্ট্যান্ড, ফিলিং স্টেশন ও বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ অঞ্চলের খামারিদের উন্নত জাতের বাচ্চা সরবরাহ করে আসছিল এ প্রতিষ্ঠানটি। তবে বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনা ও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে খামারটির কার্যক্রম এখন স্থবির হয়ে পড়েছে।

খামারে ৩টি শেড এর মধ্যে দুইটিই পরিত্যক্ত। ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। টিনের চালগুলো মরিচা পড়ে ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে বর্তমানে বন্ধ রয়েছে হাঁস ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদন। তবে পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে মুরগির বাচ্চা এনে চলছে মুরগির খামারটি।

তত্ত্বাবধায়কের ব্যবহার করা গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কবে থেকে গাড়িটি নষ্ট হয়ে রয়েছে সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি দায়িত্বরত কেউ। ফার্মের ভেতরে বন জঙ্গল হয়ে পড়ে আছে। ফলে মশা সৃষ্টির অভয়ারণ্য হয়েছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটিতে।

জানা গেছে, বছরে ২০ হাজার মুরগির বাচ্চা উৎপাদন ও বিপণনের কথা থাকলেও তার সম্পূর্ণ বন্ধ। তবে বাইরের জেলা থেকে সাড়ে ১২ হাজারের মতো মুরগির বাচ্চা এনে বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্থানীয় আব্দুল কুদ্দুস বাবু বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উদাসীনতায় ফার্মটি ধ্বংসের পথে। প্রায় তিন একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই মুরগির ফার্মটি দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে আধুনিক ফার্ম হতে পারতো। সেটি সরকার করতে পারেনি। অনেক মানুষ মুরগির ক্রয় করতে এসে ফিরে যায়।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. মোতালেব হোসেন বলেন, দ্রুত ফার্মটি নতুন করে নির্মাণ করা দরকার। এগুলো সংস্কার করার মতো কোনো সুযোগ নাই। নতুন বরাদ্দ দিয়ে ফার্মটি নির্মাণ করে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন শুরু করতে হবে। এতে সরকার ও সাধারণ মানুষ লাভবান হবে।

রাজবাড়ী হাঁস মুরগির খামারের ব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান (মুরগি প্রজনন ও খামার) বলেন, নতুন করে অর্থ বরাদ্দ দরকার। অনেক পুরাতন এই ফার্মটি নষ্ট হয়ে গেছে। একটি মাত্র শেডে মুরগি রাখা যাচ্ছে। সেটিও সংস্কার করা প্রয়োজন। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনবল সংকট দূর করা গেলে রাজবাড়ীর এই খামারটি দেশের মধ্যে একটি মডেল খামার করা সম্ভব।

বিবার্তা/মিঠুন/জবা

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত