বোয়িং না এয়ারবাস তা এখনও চূড়ান্ত নয়: বিমানমন্ত্রী

| আপডেট :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৬  | প্রকাশিত :  ০৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:৪৬


বোয়িং না এয়ারবাস তা এখনও চূড়ান্ত নয়: বিমানমন্ত্রী

বিবার্তা প্রতিবেদক


বাংলাদেশে বিমান বিক্রি নিয়ে আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে এবারই প্রথম কঠিন প্রতিযোগিতা হচ্ছে বলে জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী ফারুক খান বলেন, পত্রিকায় সংবাদে যা আসে তা পড়ি। তবে সিদ্ধান্ত নেইনি। বোয়িং না এয়ারবাস তা এখনও চূড়ান্ত না। বোয়িং নাকি এয়ারবাস কেনা হবে- এর সিদ্ধান্ত হবে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নেয়া হবে। তবে দেশের জন্য ভালো হয় এমন সিদ্ধান্তই নেয়া হবে।

৭ জুলাই, রবিবার সচিবালয়ে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

পর্যটনমন্ত্রী বলেন, আগামী এক দুই মাসের মধ্যেই বিমান কেনার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। সরকার ১০টা বিমান কিনতে চায় তবে আপাতত ৪টা কেনা হবে।

বাংলাদেশের ক্রয় সংক্রান্ত নিয়ম কানুন অনুযায়ী কেনাকাটা হবে। এ নিয়ে একটি বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটি কাজ করছে। এর আগে আমেরিকার ও ইউরোপিয়ান দুটি কোম্পানির মধ্য এতো প্রতিযোগিতা দেখিনি।

পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিমানমন্ত্রী বলেন, বোয়িং নিয়ে কথা হয়েছে। বলেছি, এখন পর্যবেক্ষণ চলছে। মূল্যায়ন কমিটি যাদের কথা বলবে, তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। সরকার নতুন বিমান কিনতে চায়। এয়ার বাসও ভালো অফার দিয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতও বোয়িং কেনার ব্যাপারে তাগাদা দিয়েছেন। বিশেষজ্ঞ মূল্যায়ন কমিটি তা যাচাই করে সুপারিশ করবে।

এসময় পিটার হাস বলেন, আমেরিকার অনেক বড় কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগসহ তাদের পণ্য বিক্রি করতে চায়। যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক আরও উন্নয়ন করতে চায় বাংলাদেশের সাথে। তবে বিমান কেনার প্রস্তাব বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

গত কয়েক দশক ধরে রাষ্ট্রীয় কোম্পানি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কিনে আসছে। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালে বিমানের জন্য কয়েক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বোয়িং থেকে দশটি উড়োজাহাজ কেনার চুক্তি হয়।

কিন্তু সম্প্রতি বিমানের জন্য উড়োজাহাজ কেনার জন্য ফ্রান্সের এয়ারবাসের প্রতি সরকারের আগ্রহ বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ঢাকা সফরের সময় এয়ারবাস থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।

তবে বসে নেই যুক্তরাষ্ট্রও। তারা বোয়িংয়ের উড়োজাহাজ বেচার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। এ নিয়ে মার্কিন দূত ছাড়াও বোয়িংয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকায় এসে বারবার বৈঠক করছেন।

বিবার্তা/লিমন

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত