ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাপদাহের কৃষকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

| আপডেট :  ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৬  | প্রকাশিত :  ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৬


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাপদাহের কৃষকদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ

সারাদেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি


ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলাকে বলা হয় লিচু উৎপাদনের স্বর্গরাজ্য। আবহাওয়া ও মাটি অনুকূলে থাকায় লিচু ছাড়াও এ উপজেলায় আম, কাঁঠাল সহ নানারকম ফল ও সবজি আবাদ হয়। প্রতিবছরের মতো এবছরও প্রায় ৫০ কোটি টাকার লিচু উৎপাদন হবে বিজয়নগরে। চলতি বছরে প্রাকৃতিকভাবে বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র তাপদাহের কারণে সারাদেশে লিচুর গুটি ঝড়ে পরায় ফলনে ব্যাপক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে খড়াতে ঝড়ে পরছে লিচুর গুটি।

তবে বিজয়নগর উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন, চলমান তাপদাহে উপজেলার লিচু সহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না।

উপজেলার লিচু চাষিরা জানান, শুরুতে প্রচুর লিচু ধরলেও পরবর্তীতে কিছু লিচু ঝরে পড়ে। তবে এবার গরমের কারণেও কিছু লিচু ঝরে পড়ছে। কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুসরণ করে লিচু গাছের যত্নে সেচ, সার ও ওষুধ প্রয়োগের কথা জানান তারা।

উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার মো. নুরে আলম  জানান, লিচু ঝরার কারণে কৃষকরা হতাশ হয়ে পড়ছেন। তবে, লিচু ঝরা কিছুটা স্বাভাবিক। উপজেলায় লিচু উৎপাদন বর্তমানে যে অবস্থায় আছে তাতে লিচু সামান্য ঝরলেও ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না।

এ বছর বিজয়নগর উপজেলায় ৪৩০ হেক্টর জমিতে লিচুর আবাদ হয়েছে। যা থেকে ৪৫ কোটি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

ছোটবড় মিলে বিজয় নগরে প্রায় ৯০০টি লিচু বাগান রয়েছে। তাপদাহ সত্ত্বেও লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চলমান তাপপ্রবাহে লিচু গাছের যত্নে কৃষককে নিয়মিত প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের আতঙ্কিত না হয়ে গাছের সঠিক যত্ন নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাব্বির আহমেদ জানান, তাপদাহে ফসলের যত্নে কি কি করতে হবে সে ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আছে। নির্দেশনাগুলো ইতোমধ্যে মাঠের কৃষকদের মাঝে পৌঁছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

চলমান তাপদাহে গাছের যত্নে উপজেলা কৃষি অফিস সকাল ও বিকাল দুইবার পানি স্প্রে করা, গাছের গোঁড়ায় রসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বেসিন বা প্লাবন পদ্ধতিতে ৭ থেকে ১০ দিন পর পর সেচের ব্যবস্থা করা, তাপদাহ কমলেও ফল পরিপক্ষ হওয়া পর্যন্ত ১৫ দিন অন্তর সেচের ব্যবস্থা করা, মালচিং করা, পরিমিত মাত্রায় সঠিক পদ্ধতিতে ইউরিয়া, এমওপি, জৈব ও অন্যান্য সার প্রয়োগের পরামর্শ দেন।

বিবার্তা/আকঞ্জি/সউদ

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত