‘ভারতের রেল বাংলাদেশে প্রবেশের পর দেশের আইন অনুযায়ী চলবে’

| আপডেট :  ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪২  | প্রকাশিত :  ০১ জুলাই ২০২৪, ০৪:৪২


‘ভারতের রেল বাংলাদেশে প্রবেশের পর দেশের আইন অনুযায়ী চলবে’

জাতীয়

বিবার্তা প্রতিবেদক


তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, ভারতের রেল বাংলাদেশে প্রবেশের পর দেশের আইন অনুযায়ী চলবে। অস্ত্র ও বিস্ফোরক বহনের সুযোগ না থাকায় ভারতের রেল চলাচলে দেশের নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি তৈরি হবে না।

১ জুলাই, সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে রেল সমঝোতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছি বিএনপি এবং বিরোধীরা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছেন। সেখানে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে অপপ্রচার হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও মিথ্যাচার করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতের ট্রেন চলবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, আমাদের দেশ নাকি নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই লাইনে ভারত নাকি এখান দিয়ে আর্মস নিয়ে যাবে। কিন্তু সমঝোতা স্মারকে এমন কিছুই নেই। বরং আর্মসসহ এ জাতীয় কিছুই পরিবহণ করা যাবে না উল্লেখ আছে। এ নিয়ে একটা কল্পিত ঝুঁকির ভয় দেখানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, ভারত শুধু আমাদের ওপর নিয়ে ট্রেন নিয়ে যাবে না বরং বাংলাদেশের ট্রেনও ভারত হয়ে নেপাল ভুটান যাবে। নেপাল এবং ভুটান থেকে বাংলাদেশের অথবা তাদের ট্রেন ভারতের মধ্যে থেকে বাংলাদেশে এসে মোংলা পোর্ট এবং চিটাগাং পোর্ট ব্যবহার করবে। তারা কিন্তু এখন কলকাতা পোর্ট ব্যবহার করে। অর্থাৎ আমাদের পোর্টগুলো আমরা লাভবান করব। তাহলে কী আপনারা বলবেন, ভারতের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি হয়ে গেলো? তারা তাদের কলকাতা পোর্টকে বঞ্চিত করে বাংলাদেশের পোর্টকে লাভজনক করে দিচ্ছে? বিষয়টি আঞ্চলিক সহযোগিতার বিষয়। এ বিষয়গুলো না বুঝে অসত্য কথাগুলো বলা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, এই সমঝোতা স্মারকে একটা বিশাল অর্জন আছে। আপনারা দেখবেন নেপাল থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে ভারতের যে গ্রিডলাইন, সেই গ্রিডের ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে আমরা নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট আমদানি করব। যখন আমাদের শীত মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকবে, অতিরিক্ত উৎপাদন করব আমরা, তখন রফতানিও করতে পারব। এখন কি বলবেন ভারতের বুকচিরে বাংলাদেশ নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আনবে এবং বিদ্যুৎ রফতানি করবে? এখানে তো পুরোটাই আমরা লাভবান হবো। সেজন্য এই সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো একেবারে উল্লেখ না করে এটি যে দুই দেশের জন্য লাভজনক সেটি উল্লেখ না করে, খণ্ডিতভাবে তারা অপপ্রচারের স্বার্থে মিথ্যাচার করছে। তারা গোলামি চুক্তি ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বলছে।

বিবার্তা/এমজে

© BBARTA24.NET
Developed by : ORANGEBD
  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত